ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় চিরশায়িত নায়করাজ

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় চিরশায়িত নায়করাজ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকার বনানী কবরস্থানে শায়িত হলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক।

মেঝ ছেলে বাপ্পি কানাডা থেকে বুধবার (২৩ আগস্ট) ভোরে ঢাকায় ফেরার পর সকাল সোয়া ১০টার দিকে রাজ্জাকের দাফন সম্পন্ন করা হয় বনানী কবরস্থানে।

দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন ৭৫ বছর বয়সী এই অভিনেতা।

সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে তার মৃত্যু হলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া।

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমমঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে রাজ্জাকের কফিন নেওয়া হয় তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল এফডিসিতে। সেখানে জানাজার পর দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষ কিংবদন্তি এই অভিনেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানায়।

মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানের আজাদ মসজিদে জানাজার পর রাজ্জাককে দাফন করার কথা থাকলেও কানাডাপ্রবাসী মেঝ ছেলে বাপ্পির অপেক্ষায় সেই পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়। বুধবার ভোরে ঢাকায় পৌঁছানোর পর শেষবার বাবাকে দেখার সুযোগ হয় বাপ্পির।

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমরাজ্জাক ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন পশ্চিমবঙ্গের (বর্তমান ভারতের) কলকাতার টালিগঞ্জে। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় স্বরসতি পূজা চলাকালীন সময়ে মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের জন্য তার গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাকে বেছে নেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে। নাটক ‘বিদ্রোহী’তে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নায়করাজের অভিনয় শুরু।

রাজ্জাক ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান। প্রথমদিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে ‘ঘরোয়া’ নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সাথে সহকারি পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের ‘তেরো নাম্বার ফেকু ওস্তাগড় লেন’ চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক।

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমপরে ‘কার বউ’, ‘ডাক বাবু’, ‘আখেরী স্টেশন’সহ আরও কিছু ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করেন। ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে হাজির হন সদর্পে। প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র। তার দুই পুত্র বাপ্পারাজ ও সম্রাট চলচ্চিত্র অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত। নায়করাজ ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে সুখী ছিলেন, যেমনটি  এ কালের নায়কদের জন্য উদাহরণ হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
বিএসকে

** শহীদ মিনারে জনতার ঢল
** কলকাতার গণমাধ্যমে ‘গুরুত্বহীন’ নায়করাজ!
** এফডিসিতে জানাযা শেষে রাজ্জাকের মরদেহ শহীদ মিনারে
** ‘কোথাও কলঙ্ক লাগতে দেইনি’
** নায়করাজের জানাজা হবে একবারই
** দুপুরে শহীদ মিনারে নায়করাজকে শেষ শ্রদ্ধা
** রাজ্জাকের মৃত্যুতে বিএমআই কল্যাণ ট্রাস্টের শোক
** এফডিসিতে ৩ দিনের শোক
** রাজ্জাকের দাফন কবে কখন কোথায়?
** রাজ্জাকের মৃত্যুতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের শোক
** কী হয়েছিলো নায়করাজের?
** নায়করাজের টানে হাসপাতালে আলমগীর-শাকিব-মৌসুমী
** ‘রাজ্জাক ভাই ছিলেন দেশীয় চলচ্চিত্রের ইনস্টিটিউট’
** নায়করাজের মৃত্যু, ফেসবুক যেন শোকবই
** নায়করাজ রাজ্জাক আর নেই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।