ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

তারার ফুল

নওশীনের সঙ্গে কিছুক্ষণ

‘আমার ছবির কুফা কবে যে কাটবে!’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৬
‘আমার ছবির কুফা কবে যে কাটবে!’ নওশীন, ছবি: নূর-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ছোট পর্দায় নিয়মিত হলেও মাঝে মধ্যে বড় পর্দায় দেখা দেন অভিনেত্রী নওশীন নাহরীন মৌ। তবে তার অভিনীত ছবির সংখ্যা হাতেগোনা।

চলচ্চিত্রে স্বতন্ত্র অবস্থান গড়ে তোলার খুব ইচ্ছে হয় তার। সেজন্য চেষ্টাও করছেন। এবার তিনি অভিনয় করতে যাচ্ছেন ‘শ্যাওলা’ নামের একটি ছবিতে। এ প্রসঙ্গে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন নওশীন-

বাংলানিউজ: ‘শ্যাওলা’ ছবিতে অভিনয় করবেন শুনছি?
নওশীন:
প্রায় দুই-তিন মাস আগ থেকে এ ছবির ব্যাপারে কথা হচ্ছে দুই পরিচালক ছাইব বাপ্পী ও এহসানুল হক চৌধুরীর সঙ্গে। গল্পও পড়েছি। বেশ আকর্ষণীয় একটি গল্প। রোববার (২৪ জুলাই) রাতে ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে ছবিটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে আমি সিলেটে থাকায় এখানে অংশ নিতে পারিনি। এখানে বিপুল রায়হানের ‘ময়নাগুড়ি ট্রি স্ট্রিট’ নাটকের কাজ করছি।  

বাংলানিউজ: ছবিটিতে আপনার চরিত্রটি কেমন?
নওশীন:
দর্শক আমাকে যেভাবে দেখে অভ্যস্ত, এখানে ব্যতিক্রম হবে। থাকবে বৈচিত্র। এবারই প্রথম বড় পর্দায় গ্রামীণ মেয়ের চরিত্রে উপস্থিত হবো। মূলত একজন মাঝির (ফেরদৌস) জীবনের কয়েকটি অংশ দেখানো হবে কয়েকটি ভাগে। একটি অংশে মাঝির সঙ্গে সম্পর্ক থাকে আমার। এমন নয় যে দর্শকরা আমাকে পুরো ছবি জুড়েই দেখবে। শুধু ওই অংশ জুড়েই থাকবে আমার উপস্থিতি।  

বাংলানিউজ: চরিত্রটির জন্য বাড়তি কোনো প্রস্তুতি নেবেন?
নওশীন:
আমাকে দর্শক সচরাচর গ্রাম্য মেয়ের চরিত্রে দেখে না। নাটকে অবশ্য কয়েকবার এ ধরনের চরিত্রে কাজ করেছি। তবে ‘শ্যাওলা’য় সম্পূর্ণ গ্রাম্য একটি মেয়ে হয়ে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে। সেক্ষেত্রে আমার পোশাক থেকে শুরু করে কথা বলা, চাল-চলনসহ সবকিছুতেই স্বাভাবিকের তুলনায় তারতম্যতা লক্ষ্য করা যাবে। এজন্য অবশ্যই প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

বাংলানিউজ: কতোদিন পর আবার বড় পর্দায় কাজ করতে যাচ্ছেন?
নওশীন:
আমি যে ছবিতে কাজ করি সেটার মুক্তিই আটকে যায়! কবে যে এই কুফা কাটবে কে জানে! সবশেষ গত বছর ‘মুখোশ মানুষ: দি ফেইক’ (হিল্লোল) ছবিতে অভিনয় করেছি। কিছু জটিলতার কারণে এটি এখনও মুক্তি পায়নি। এ ছাড়া আমার বেশ কয়েকটি ছবির কাজ সম্পন্ন হলেও মুক্তির ব্যাপারটা ঝুলে আছে। এর মধ্যে শফিকুল ইসলাম ভৈরবীর ‘সুয়াচাঁন পাখি’ (আনিসুর রহমান মিলন), ডায়েল রহমানের ‘দুদু মিয়া’ (আমিন খান) এবং রকিবুল আলম রকিবের ‘মনপাখি’ (মোশাররফ করিম)। শুধু শাহরিয়ার নাজিম জয় পরিচালিত ‘প্রার্থনা’ (তৌকীর আহমেদ) মুক্তি পেয়েছে।  

বাংলানিউজ: বড় পর্দায় কি নিয়মিত হবেন? 
নওশীন:
সত্যি বলতে বড় পর্দায় আমার ভাগ্য অতো সুপ্রসন্ন নয়। এজন্য হতাশা থেকে কয়েকটি ছবির প্রস্তাব পেয়ে রাজি হইনি। অবশ্যই ভালো চরিত্রে নিয়মিত কাজ করতে চাই। সেটা যে পর্দাতেই হোক না কেনো। তবে স্বল্প উপস্থিতির কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলোতে কাজ করতেই বেশি স্বচ্ছন্দ্যবোধ করি। বড় পর্দায় নিজেকে দেখার লোভ কার নেই। তাছাড়া সিনেমাই তো টিকে থাকে।  

বাংলানিউজ: ‘শ্যাওলা’র কাজ শুরুর আগ পর‌্যন্ত কি নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন?
নওশীন:
আমি তো বরাবরই ছোট পর্দা নিয়ে ব্যস্ত। গেলো ঈদেও ১২টি নাটকে কাজ করেছি। ঈদের পর থেকে টানা কাজ করছি ধারাবাহিক নাটকের। মোট চারটি ধারাবাহিক এখন চলছে। এগুলো হলো- সুমন আনোয়ারের ‘স্বর্ণলতা’ (বাংলাভিশন), সুস্ময় সুমনের ‘মায়ার বাঁধন’ (বৈশাখী টিভি), অনিরুদ্ধ রাসেলের ‘টাইম’ (চ্যানেল নাইন) ও মঈনুল হাসান খোকনের ‘হাই সোসাইটি’ (এনটিভি)।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৬
জেএমএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।