ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

তারার ফুল

নতুন অ্যাকশন-কন্যা নিকোলা

আফসানা রীপা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৪
নতুন অ্যাকশন-কন্যা নিকোলা

নিকোলা পেলজ নামটি হলিউডে তেমন আহামরি মনে হবে না কারও। হলিউডের নিয়মিত দর্শকদের কাছেও তিনি পরিচিত কেউ নন।

সাধারণত জেমস বন্ড সিরিজের ছবিগুলোর নায়িকারা এক ঝলকে সাড়া ফেলে দেন। নিকোলা বন্ডকন্যা না হয়েও আলোচনায় উঠে এসেছেন। ‘ট্রান্সফরমার্স’ সিরিজের নতুন ছবি তাকে এনে দিচ্ছে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি।

২৭ জুন আমেরিকা ও বাংলাদেশে একসঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে ‘ট্রান্সফরমার্স : এজ অব এক্সটিংকশন’। ২০০৭ সালে এই সিরিজের প্রথম ছবিতে নায়িকা ছিলেন মেগান ফক্স। পরেরটাতেও তিনিই। তৃতীয় কিস্তিতে অভিনয় করেন রোজি-হান্টিংটন হুইটলি। মেগান তো ‘ট্রান্সফরমার্স’-এর পর প্রথম সারির তারকা বনে যান। রোজিও হলিউডে ভালো অবস্থান পেয়েছেন। নিকোলার আগামী দিনগুলো তাদের মতোই সুগম হবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। কারণ পরিচালক মাইকেল বে ও নির্বাহী প্রযোজক স্টিভেন স্পিলবার্গ।

গত বছরের ২৬ মার্চ ‘ট্রান্সফরমার্স’-এর নতুন ছবিতে টেসা চরিত্রের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন নিকোলা। গল্পটা টেসা ও তার বাবা কেড ইগারকে ঘিরেই এগোয়। একদিন হঠাৎ করেই বাবা কেড কিনে নিয়ে আসেন বাড়িতে ঢাউস এক ট্রাক। দেখতে শুনতে মরচে পড়া এমন একটা দশা যন্ত্রদানবকে দেখে মেয়ে উপহাসই করে বসে। পুরো বিষয়টিকে অর্থ অপচয় ছাড়া কিছুই মনে হয় না তার। কিন্তু তারা ক্রমশ বুঝতে থাকেন, এটা সাইবাট্রন থেকে আসা কারও ধ্বংসাবশেষ। এদিকে মার্কিন মুলুকে ততদিনে নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া ট্রান্সফরমারদের ওই বাড়িতে আগমনের বিষয়টা টের পেয়ে যায় প্রশাসন। গোয়েন্দা বাহিনীর অতর্কিত আক্রমণে হতভম্ব পরিবারটির চোখের সামনে আবারও নিজ রূপে আবির্ভাব ঘটে অপটিমাস প্রাইমের। অন্যদিকে মানুষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়ে বসে ট্রান্সফরমারদের অটোবটের জগৎ।

‘ট্রান্সফরমার্স : এজ অব এক্সটিংকশন’-এ মার্ক ওয়ালবার্গের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিকোলা। ওয়ালবার্গের পাশাপাশি এই সিরিজের আরও দুটি ছবিতে অভিনয় করবেন নিকোলা। সে হিসেবে মেগান ও রোজিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি।

আগামী মাসে তার অভিনীত ‘অ্যাফ্লুয়েঞ্জা’ ছবিটি মুক্তি পাবে আমেরিকার কিছু প্রেক্ষাগৃহে। ছবির পাশাপাশি টিভি সিরিয়ালেও অভিনয় করছেন নিকোলা। অ্যা অ্যান্ড ই সিরিজ ‘বেটস মোটেল’-এ হাইস্কুল ছাত্রী ব্রাডলি মার্টিন চরিত্রে এখনও দেখা যায় তাকে।

মাত্র ১৯ বছর বয়সেই সাফল্যের টাট্টু ঘোড়া চলে এসেছে নিকোলার কাছে। ১৯৯৫ সালের ৯ জানুয়ারি নিউইয়র্কের ওয়েচেস্টারে তার জন্ম। কোটিপতি বাবা নেলসন পেলজ ও এক সময়ের মডেল-অভিনেত্রী ক্লডিয়ার সংসারে সাত সন্তানের মধ্যে নিকোলা পঞ্চম। শৈশবে আইস হকি খেলতে খেলতেই কখন যে হলিউডে জড়িয়ে গেছেন টেরও পাননি নিকোলা। কৈশোরে পা রাখার আগেই শুরু করেন মডেলিং। ১১ বছর বয়সে ‘ডেক দ্য হলস’ (ড্যানি ডেভিটো, ম্যাথু ব্রডেরিক) ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করে প্রশংসিত হন তিনি। ২০০৭ সালে মঞ্চনাটকে অভিষেক হয় তার। লরেন্স অলিভিয়ার পুরস্কারজয়ী ‘ব্ল্যাকবার্ড’ নাটকে তিনি অভিনয় করেন জেফ ড্যানিয়েলস ও অ্যালিসন পিলের সঙ্গে।

২০১০ সালে ‘দ্য লাস্ট এয়ারবেন্ডার’ ছবিটি তাকে পরিচিতি এনে দেয়। অথচ এ ছবির জন্য গোল্ডেন রাস্পবেরি অ্যাওয়ার্ডে বাজে পার্শ্ব-অভিনেত্রীর মনোনয়ন হজম করতে হয় তাকে। দুই বছর আগে তিনি কাজ করেন ‘আই অব দ্য হারিকেন’-এ। মাঝে মাইলি সাইরাসের ‘সেভেন থিংস’ গানের ভিডিওতে ক্ষুদ্র উপস্থিতি ছিল তার। নাইলন সাময়িকীর দৃষ্টিতে হলিউডের আগামী দিনের ৫৫ মুখের তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন নিকোলা। ভুল হয়নি এই তালিকা, ‘ট্রান্সফরমার্স’ তাকে এগিয়ে দিলো কয়েক হাজার মাইল। তিনিই হলিউডের নতুন অ্যাকশন-কন্যা।

বংলাদেশ সময় : ১৭০৯ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।