আর্থিক সংকটের কারণে আটকে আছে চলচ্চিত্র ‘নৃ’র শুটিং। এরই মধ্যে ছবিটির ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান নির্মাতা।
ছবির নির্মাতা রাসেল আহমেদের পিতার সম্পত্তি বিক্রির টাকায় ২০১২ সালের আগস্টে শুরু হয়েছিলো ‘নৃ’র কাজ। প্রাথমিক মূলধন হিসাবে ওই টাকা ছিলো নিতান্তই অপ্রতুল। ছয় মাসের প্রস্তুতির পর ২০ দিনের শুটিংয়ে [গত বছরের এপ্রিলে] তা শেষ হয়ে যায়। তীব্র অর্থসংকটে পড়ে ছবিটির শুটিং ইউনিট। ঐ সময়ে নির্মাতাকে আর্থিক সহযোগিতা দিতে এগিয়ে আসেন সৌদি প্রবাসী ব্যবসায়ী ডা. আরিফুর রহমান।
এই টাকা পাওয়ার পর গত বছরের ২৫ অক্টোবর বরিশালের বানারীপাড়ার নরোত্তমপুর গ্রামে আবারো ছবির চিত্রায়ণের কাজ শুরু হয়েছিলো।
নির্মাতা রাসেল আহমেদ বলেন, ‘চলচ্চিত্রটির শুরু করেই আমি টের পেয়েছি- এ অঞ্চলে স্বকীয়তা ও নিজস্ব ভাষা শৈলী নিয়ে একটি আন্তর্জাতিকমানের পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র নির্মাণে রয়েছে বিস্তর প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু সাথে সাথে আমি এটাও বুঝতে পেরেছি- লাগামছাড়া দুঃসাহস ও চলচ্চিত্রের জন্য নিজস্ব উৎসর্গ ব্যতিরেকে একটা পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্রের বিকাশ সম্ভব না। তাই জেনেবুঝেই ঝাঁপ দেয়া। প্রতিবন্ধকতাকে পথের অংশ মেনেই আগাচ্ছি। যাই হোক, অনেকখানি পথ পেরিয়ে শেষ পর্যায়ে এসে আমাদের আত্মবিশ্বাসের কোনো অভাব আছে, এটা কেউ বলতে পারবে না। বাকি টাকাটা জোগাড় হয়ে গেলে ছবিটা শেষ করতে পারবো। ’
ছবির চিত্রায়ণে তিনটি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। মূল চিত্রগ্রাহক- ড্যানিয়েল ড্যানি। সাথে আছেন ক্যামেরা সঞ্চালক ঈয়ন ও দঈত আন্নাহাল। সিনেমার শিল্প নির্দেশক হিসাবে আছেন থিওফিলাস স্কট মিল্টন। শব্দগ্রহণ করছেন- এমআই সাইফ। পোশাক ও পরিচ্ছদ দেখছেন শাহরিয়ার শাওন। এছাড়া সম্পাদনার দায়িত্বে আছেন- সামির আহমেদ।
চলচ্চিত্রের মূল চরিত্র বিশুর ভূমিকায় অভিনয় করছে বরিশাল জেলা স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ইয়াসিন। পুরনো এ নগরের কাউনিয়া এলাকার মহাশ্মশানের দুই চান্ডাল দিলীপ কুমার পাল ও রাঁধা বল্লভ শীল ছাড়াও এতে আরো আছেন তাসনুভা তামান্না, সিরাজুম মুনীর টিটু, হিরা মুক্তাদির, এসএম তুষার, দুখু সুমন, হ্যাভেন খান, ওয়াহিদা রহমান আভাসহ শতাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী।
যদি কোন শিল্প রসিক রাসেল আহমেদের প্রথম ছবি ‘নৃ’ এর বাকি কাজ শেষ করতে আর্থিক সহযোগিতা করতে চান তারা নির্মাতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৪