ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

সাক্ষাৎকার

সেন্সর বোর্ড বলে কিছু থাকছে না আর : পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়

গোলাম রাব্বানী, বিভাগীয় প্রধান বিনোদন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৩
সেন্সর বোর্ড বলে কিছু থাকছে না আর : পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়

১১ জানুয়ারি সকালে কলকাতার পরিচালক গৌতম ঘোষ, অভিনেতা প্রসনজিৎ ও জিৎ এর নেতৃত্বে কলকাতা চলচ্চিত্রের শিল্প ও বাণিজ্য ফেডারেশনের একটি দল বিএফডিসিতে এসে এক বৈঠক করে যায়। এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তথ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ মামুন, সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেত্রী কবরীসহ আরো অনেকেই।

এ বৈঠকের নানা দিক, বিএফডিসিসহ নানান  বিষয় নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অভিনেতা পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।

হঠাৎ এ ধরণের একটি বৈঠক হওয়ার করার কারণ কি?

আসলে এটা হঠাৎ করে হয়নি। আমরা আমাদের চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য নানা ধরণের কাজ হাতে নিচ্ছি। এটা তারই একটা অংশ। কলকাতার প্রতিনিধি দলটি আমাদের সঙ্গে বসেছেন। তারা তাদের মতামত এবং প্রস্তাবনা দিয়েছেন।

তাদের প্রস্তাবনাগুলো কি কি?
 
তাদের প্রথম কথা দুই বাংলার চলচ্চিত্র শিল্প এক হয়ে কাজ করতে পারে কিনা। বিশ্বে প্রায় ৩০ কোটিরও বেশি বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শক আছে। একটা বিশাল বাজার রয়েছে এ বাংলা চলচ্চিত্রের। এ বাজারটাকে কিভাবে ব্যবহার করা যায় এবং দুই দেশের চলচ্চিত্র উন্নয়নে এ বাজার একটি ভূমিকা রাখতে পারে। তারা আরো বলেছেন একই সঙ্গে দুই দেশে ছবি মুক্তি দেওয়া যায় কিনা। যেমন যে ছবিটি আমাদের এখানে মুক্তি পেল সেটা আমরা কলকাতায় মুক্তি দিতে পারি। একইরকমভাবে তারাও তাদের ছবি এ দেশে রিলিজ করবে। আমাদের বেশ কিছু হল আধুনিকায়নও করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। এটা তারা তাদের টাকায় করে দিবে।

তাদের প্রস্তাবনাগুলো নিয়ে আপনাদের মতামত কি ছিলো?

আমরা সময় চেয়েছি। নিজেরা চিন্তা করি। সকলের মতামত নেই তারপর আমরা কাজটি শুরু করতে পারি।

এ উদ্যোগটা কি সরকারি পর্যায়ের না ব্যক্তি পর্যায়ের?

এটা আসলে সরকারি পর্যারের কোন উদ্যোগ না। কলকাতার শিল্প ও বাণিজ্য ফেডারেশনের একটি দল এ প্রস্তাবনা নিয়ে এসেছিল।

তাদের প্রস্তাবনা যদি মেনে নেওয়া হয়, তাহলে কি আপনি মনে করেন আমাদের চলচ্চিত্র লাভবান হবে?

একসঙ্গে যদি আমরা পরিকল্পনা করে কাজ করতে পারি তাহলে বিষয়টা আমাদের জন্য ভালো হতে পারে। সবার আগে দেখতে হবে আমার দেশ এবং আমাদের চলচ্চিত্র কতটা লাভবান হবে। এসব বিষয়গুলো নিয়েই আমরা এখন ভাবছি।

এখন ডিজিটাল ছবির একটি জোয়ার এসেছে বলা যায়। সবাই ছবি নির্মাণ শুরু করেছে। কিন্তু এসব ছবি দেখানোর জায়গা নেই। এ বিষয়ে আপনারা কি কোন উদ্যোগ নিয়েছেন?

এ বিষয়ে আমি এরই মধ্যে মাননীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। এবং আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রয়োজন হলে ১৫০ থেকে ২০০ হল আমরাই ডিজিটাল করে দিবো। আর এতে করে সরকারের লাভ হবে। সরকার তো টাকা পাবে এখান থেকে।

এফডিসিতে এখন চলচ্চিত্রের শুটিং হয় না। শুটিং হয় নাটক, বিজ্ঞাপনচিত্র এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠানের। এর কারণ কি? এফডিসি কী শুটিং করার উপযুক্ত না?

আসলেই শুটিং করার জন্য এখন এফডিসি উপযুক্ত না। কারণ এখন সবাই ডিজিটাল ছবি নির্মাণ শুরু করেছে। আর ডিজিটাল ছবির শুটিংয়ের জন্য যে ধরণের কারিগরি সহায়তা দরকার হয় সেটা এফডিসিতে নেই। তবে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। এফডিসিতে যে যে সমস্যাগুলো আছে তা সমাধাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর সব ছবির শুটিং এফডিসিতেই করতে হবে এমন কোন কথা নেই। এখন প্রচুর ভালো সিনেমা হওয়া দরকার এটা আসল কথা।

সেন্সরবোর্ড থাকছে না বলে একটা খবর শোনা যাচ্ছে। এটা কি আসলেই থাকছে না?

হ্যাঁ, সেন্সর বোর্ড বলে কিছু থাকছে না আর। এর কাজ অনেকখানি এগিয়ে গেছে। আমরা এখন চলচ্চিত্রের গ্রেডিং সিস্টেম করতে যাচ্ছি। কাজ শেষ পর্যায়ে এখন যে কোন দিন আমরা ঘোষণা দিবো।

বিএফডিসির দায়িত্ব নেওয়ার পর আপনাকে অভিনয়ে আর দেখা যাচ্ছে না। অভিনয় কি ছেড়েই দিলেন?

কিভাবে অভিনয় করবো। এখানে প্রচুর সময় দিতে হচ্ছে। প্রচুর সিনেমা নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব পাচ্ছি কিন্তু সময়ের অভাবে কাজ করা হচ্ছে না। মঞ্চেও সময় দিতে পারছি না। অভিনয় তো আর ছাড়তে পারবো না।


বাংলাদেশ সময় : ১৭০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৩
জিআর 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad