ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

গাজীপুরে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলনের ভোট বর্জন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
গাজীপুরে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলনের ভোট বর্জন সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন মো. ইজাদুর রহমান মিলন চৌধুরী। ছবি: বাংলানিউজ

গাজীপুর: পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাজীপুর সদর উপজেলার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইজাদুর রহমান মিলন চৌধুরী ভোট বর্জন করেছেন।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলন মিলন অভিযোগ করেন, সবগুলো কেন্দ্র থেকে মারধর করে আমার নির্বাচনী এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।

আমার কর্মী-সমর্থকদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজ কেন্দ্র বিকেবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় নিজের ভোটটিও দিতে পারি নাই।  কোথাও নির্বাচনের পরিবেশ নেই। যুবলীগ-ছাত্রলীগ কেন্দ্র দখল করে রেখেছে। বাধ্য হয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করে বাসায় ফিরে যাই। সোমবার (১৭ জুন) রাত থেকেই বাসা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসককে জানিয়েও কোনো সহযোগিতা পাইনি। পুলিশ সুপারকে ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা যায় না। তাই ভোট বর্জন করে পুন:নির্বাচনের দাবি করছি।

এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবু নাসার উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, কোথাও কোনো গোলযোগের খবর তিনি জানেন না। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন চলছে। এজেন্ট বের করে দেওয়া বা তাদের মারধর করার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি।

সকাল সাড়ে ১০টায় পিরুজালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। ওই কেন্দ্রের কয়েকটি বুথে এ সময় ১-৫টি ভোট পরতে দেখা গেছে। এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. সানোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, তার কেন্দ্রের আটটি বুথের মধ্যে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৬৮টি ভোট পড়েছে। এ কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা হলো ৩ হাজার ১০২টি। তবে তার কেন্দ্রে কোথাও কোনো অনিয়ম হয়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থীর কোনো কেন্দ্রেই আসেননি।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট রিনা পারভিন পিরুজালী আদর্শ হাই স্কুল কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভোট দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই নির্বাচন হচ্ছে। তার নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ সঠিক নয়।  

এর আগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, মঙ্গলবার ২২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এগুলোর মধ্যে ১৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণের তফসিল দেওয়া হয়েছিল প্রথমে। এরসঙ্গে আগে স্থগিত হওয়া ৬টি উপজেলার ভোটও যোগ হয়েছে।
 
উপজেলাগুলো হলো- শেরপুরের নকলা, নাটোরের নলডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, বরগুনার তালতলী, নারায়ণগঞ্জ বন্দর, গাজীপুর সদর, রাজবাড়ীর কালুখালী, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, মাদারীপুর সদর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বাঞ্ছারামপুর ও বিজয়নগর, কুমিল্লার আদর্শ সদর ও সদর দক্ষিণ এবং নোয়াখালী সদর উপজেলা।
 
এছাড়া যোগ হওয়া ৬টি উপজেলা হলো নেত্রকোণার পূর্বধলা, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও ফেনীর ছাগলনাইয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
আরএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।