ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

১ ডিসেম্বরের মধ্যে জাবি সচল করার দাবি শিক্ষার্থীদের

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
১ ডিসেম্বরের মধ্যে জাবি সচল করার দাবি শিক্ষার্থীদের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে আগামী রোববারের (১ ডিসেম্বর) মধ্যে সচল করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে এ আবেদন জানান তারা। একইসঙ্গে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করা প্রসঙ্গে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এর ব্যানারে চলমান আন্দোলনকারীদের কাছেও আবেদন জানিয়েছেন তারা।

উপাচার্য এবং আন্দোলনকারীদের কাছে দেওয়া লিখিত আবেদনপত্রে তারা দুই দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো- ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সচল করা এবং একাডেমিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে আন্দোলনকারী ও প্রশাসন থেকে এমন কোনো কর্মসূচি না নেওয়া।

আবেদনপত্রে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, হল ভ্যাকেন্টের (হল খালি করা) সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের উপকারে আসেনি। এতে আমরা সেশনজটের আশঙ্কায় রয়েছি। এছাড়া ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার পাশাপাশি টিউশনি চলে যাচ্ছে। একইসঙ্গে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির পরীক্ষা ও ফলাফল স্থগিত থাকায় শিক্ষার্থীরা চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ পরিস্থিতির দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আন্দোলনকারীরা কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। যেকোনো উপায়ে ক্যাম্পাসের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ও গতিশীল করা হোক।

আবেদনপত্র নেওয়ার পর উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘তোমাদের আবেদন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। তবে ১ ডিসেম্বর আমরা পারবো না। এখানে সরকারের অভিমত প্রয়োজন। তারা একটা তদন্ত করছেন। তবে যতদ্রুত সম্ভব আমরা চেষ্টা করবো। ’

এসময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বশির আহমেদসহ উপাচার্যপন্থি কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এর ব্যানারে আন্দোলনকারীদের কাছে দেওয়া আবেদনপত্রে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ‘আন্দোলন সবার গণতান্ত্রিক অধিকার। সঠিকভাবে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়াটাও অধিকার। আমাদের অনুরোধ, আপনাদের আন্দোলনের কোনো কর্মসূচি যেন একাডেমিক ও প্রশসানিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত না করে। ’

এসময় আন্দোলনকারীরা শিক্ষা কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো কর্মসূচি না দেওয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবেন বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।

এসময় জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পাপ্পু, শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুসফিক-উস-সালেহীন, শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন রহমান, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের কার্যকরি সদস্য রাকিবুল হক রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।