ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ব্যবহারিক জ্ঞানে জোর দিতে হবে 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ব্যবহারিক জ্ঞানে জোর দিতে হবে  ইউজিসি সদস্য ও তথ্য-প্রযুক্তিবিদ প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ব্যবহারিক জ্ঞানের ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও তথ্য-প্রযুক্তিবিদ প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন। 

তিনি বলেছেন, স্থানীয়ভাবে আমাদের যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেভাবে কাজ করেনি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে করলেও আমরা দেখেছি তা শুধু পুঁথিগত বিদ্যার মধ্যেই নিহিত।

এখন এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য সুবর্ণ সুযোগ। ছেলে-মেয়েদের অ্যাপ্লাইড নলেজে (ব্যবহারিক জ্ঞান) শিক্ষিত করার ওপর জোর দিতে হবে।  

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত ‘ড্যাফোডিল আইসিটি কার্নিভাল ২০১৯’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর সাজ্জাদ এসব কথা বলেন।  

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের সঙ্গে প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন।  ছবি: বাংলানিউজইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে প্রবেশের জন্য বিশ্ব প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাংলাদেশও গত কয়েক বছরে আইসিটি খাতে সাফল্য দেখিয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আমাদের সম্পদ আট কোটি তরুণকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। ‘আমরা এখন আর্টিফিসিয়ালি ইন্টেলিজেন্সের কথা বলছি। আমরা এমন কিছু টেকনোলজির কথা বলছি, এর মধ্যে রয়েছে রোবটিক্স। যা পৃথিবীকে আরও সুন্দর করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সেটাকে বাংলাদেশের জন্য ফরচুন হিসেবে দেখা হচ্ছে, যার নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ’ 

তিনি বলেন, আমরা একটা ড্রিমকে লালন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণার মধ্য দিয়ে আধুনিক বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। সেখানে একটা ফ্রেমওয়ার্ক রয়েছে। রয়েছে ডেল্টা প্ল্যান। এ অবস্থায় আমাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনের প্রয়োজন। তবে সে জায়গায় আমরা একটু পিছিয়ে রয়েছি। এখন সময় এসেছে এসব বিষয়কে এড্রেস করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রিসার্চ ও ইনোভেশনের দিকে মনোযোগী হওয়ার। ‘ছেলে-মেয়েদের হাতে-কলমে শিক্ষা দিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেই নিতে হবে। যারা লোকাল প্রোব্লেম সলভ করে ইন্টারন্যাশনালিও অবদান রাখবে। ’ 

প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমি মনে করি  সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বলে কোনো কথা নেই। সবাই জাতির কল্যাণে অবদান রাখছে, সমাজের কল্যাণে কাজ করছে। আর সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী রয়েছে তারাও মেধাবী এবং সবাই তরুণ। এই তরুণদের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ আছে।

‘তাদের নেতৃত্বের সেই জায়গায় নিয়ে যেতে হলে আমাদের প্রয়োজন রিসার্চ ও ইনোভেশন। এক্ষেত্রে একটা পরিবর্তন আনতে হবে।  ইনক্লোসিভ ইকোসিস্টেম বিল্ড আপ করা দরকার। এসব বিষয় মাথায় নেখেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পরিকল্পনা নিতে হবে। ইউজিসি এসব বিষয়ে সব সময় সহযোগিতা করবে,’ বলেন এই শিক্ষাবিদ।

অনুষ্ঠানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্যে প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলামসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
এমএ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।