ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি বাস্তবতা বিমুখ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৮
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি বাস্তবতা বিমুখ বক্তব্য রাখছেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ, এমএ পাস করে শিক্ষিত হলেও সে শিক্ষা বাস্তব কাজে প্রয়োগের সুযোগ কম বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, সমাজ থেকে পুরনো ধারণার দৃষ্টি ফেরাতে হবে। আমাদের বাস্তবমুখী শিক্ষার দিকে যেতে হবে। এজন্য সরকার কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছে।

সোমবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলে স্কিলস টোয়েন্টিওয়ান-অর্ন্তভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে নাগরিকদের ক্ষমতায়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।  

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়ন ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।


 
কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, স্কিলস টোয়েন্টিওয়ান প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর স্নেহাল সোনেজি, কারিগরি শিক্ষা বিভাগের মহাসচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, কারিগরি শিক্ষা বিভাগের পরিচালক মনজুরুল কাদের প্রমুখ।  
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে মোট শিক্ষার্থীর মাত্র ১ শতাংশ কারিগরি শিক্ষায় পড়তো। সেখানে এখন ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে। আমাদের টার্গেট ২০২০ সালে ২০ শতাংশে উন্নীত করা। এখানেই থেমে থাকতে চাই না। অধিকাংশ শিক্ষাই হতে হবে বাস্তবমুখী কারিগরি শিক্ষা। সেই লক্ষ্যে সরকার কাজও করছে।
 
কারিগরি শিক্ষা বিস্তারে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় আসার পর শুরুতে আমরা একটি ধাক্কা খেয়েছিলাম। আমরা সব সময় বলি উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকার হচ্ছে শিক্ষা, আর অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার হচ্ছে কারিগরি শিক্ষা। বিষয়টি একসময় দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। অতীতে মানুষ মনে করতো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এবং বিএ, এমএ পাস করা হলো শিক্ষা। এটা অবশ্যই শিক্ষা, কিন্তু সেই শিক্ষা বাস্তব কাজে প্রয়োগ করার সুযোগ খুবই কম। সেখান থেকে দৃষ্টি ফেরাতে হবে।
 
‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা হতে হবে বাস্তব কাজের দিক চিন্তা করেই। আর সেটা করতে পারলে হবে অর্থভিত্তিক শিক্ষা। ’
 
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনার সন্তানকে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে লেখাপড়া করাতে পাঠান। শুধু ডিগ্রি নেওয়ার জন্য প্রকৃত শিক্ষা না। যে শিক্ষা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা যাবে সেই শিক্ষার দিকে গুরুত্ব দেন।
 
প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ২০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় হবে। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেবে ১৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো। বাকিটা সরকার বহন করবে।
 
প্রকল্পের আওতায় বাগেরহাট, খুলনা, কাপ্তাই, ফেনী, জামালপুর, সিলেট, গাইবান্ধায় ৭টি মডেল কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। যেখানে দক্ষতা ব্যবস্তার পুনর্গঠনের সবগুলি উপাদানই বিদ্যমান থাকবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৮
এসএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।