ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রেজাল্ট

এবছরও বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে কমেছে পাসের হার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৭ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৮
এবছরও বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে কমেছে পাসের হার

বরিশাল: বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বছর বছর কমছে পাসের হার। ২০১৫ সাল থেকে এ বোর্ডে পাসের হার ক্রমান্বয়ে কমছে। 

এবার বরিশাল বোর্ডে মোট পাসের হার গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭ দশমিক ১১ শতাংশে, যা গত বছর ছিলো ৭৭ দশমিক ২৪ শতাংশে।

বোর্ডের বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত ফলাফলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪ সালে পাসের হার ছিলো ৯০ দশমিক ৬৬ শতাংশ, এরপর ২০১৫ সালে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৮৪ দশমিক ৩৭ শতাংশে।

আর ২০১৫ সালের চেয়ে ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমে ২০১৬ সালে দাঁড়ায় ৭৯ দশমিক ৪১ ভাগে। ২০১৭ সালে পাসের হার ছিলো ৭৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। সর্বশেষ ২০১৭ সালের থেকে দশমিক ১৩ শতাংশ কমে ২০১৮ সালে দাঁড়িয়েছে ৭৭ দশমিক ১১ শতাংশে।

এবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৪৬২ জন শিক্ষার্থী। গত বছরের তুলনায় এ বছর ১ হাজার ১৭৪ জন বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে।

তবে ২০১৪ সালে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ছিলো ৪ হাজার ৭৬২, সেখানে পরের বছর ২০১৫ সালে ১ হাজার ৫৯১ কমে জিপিএ-৫ দাঁড়ায় ৩ হাজার ১শ’ ৭১-এ। এরপর ২০১৬ সালে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ৩ হাজার ১১৩। আর ২০১৭ সালে এসে আরও ৮২৫ কমে গিয়ে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা দাঁড়ায় ২ হাজার ২৮৮ জনে।

এ বছর সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েছে বিজ্ঞান বিভাগে ৩ হাজার ২২৪ জন, আর মানবিক বিভাগে ১০৬ জন ও বাণিজ্য বিভাগে পেয়েছে ১২৮ জন।

তবে বিগত সময়ের চেয়ে এ বছর এসএসসিতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো বেশি। এবছর পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো ১ লাখ ৩ হাজার ১২৪ জন। যার মধ্যে ছাত্র ৫১ হাজার ৯১২ জন এবং ছাত্রী ছিলো ৫১ হাজার ২১২ জন।

অপরদিকে গত বছর ৯ হাজার ৪৪৮ জন পরীক্ষার্থী কম অংশ নেয়। যার মধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৩৬১ জন এবং ছাত্রী ছিলো ৪৬ হাজার ৩১৫ জন। এদের মধ্যে পাস করেছিলো ৭২ হাজার ৩৫৬ জন।  

এছাড়া এ বছর গত বছরের চেয়ে বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো বেশি। এবছর ১০৩ জন পরীক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে, যা গত বছর ছিলো ৩৯ জন।

এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ২৭ হাজার ৪১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ২৪ হাজার ২৫৫ জন। মানবিক বিভাগে ৪৭ হাজার ৩৭৪ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩২ হাজার ৫৪১ জন। বাণিজ্য বিভাগে ২৮ হাজার ৭০৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ২২ হাজার ৭২৪ জন।

এ বিষয়ে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আজিম জানান, এ বছর গণিতে ও ইংরেজিতে পরীক্ষার্থীরা তুলনামূলক খারাপ করেছে। তবে পাসের হার কমলেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার কোনো প্রভাব পড়েনি। কারণ পাসের সংখ্যা কমলেও ফলাফলে গুণগতমান ভালো হওয়ার বিষয়টি দেখা গেছে। এ বছর বিগত বছরের থেকে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই।

শিক্ষকের অপ্রতুলতা ও উত্তরপত্র মূল্যায়নে পরিবর্তনের কারণে ফলাফলে কিছুটা পরিবর্তন ঘটতে পারে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৮
এমএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।