ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

গ্যাস সংকটে ভোগান্তিতে ঢাবির একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৮
গ্যাস সংকটে ভোগান্তিতে ঢাবির একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা বিজয় একাত্তর হলের মূল ফটক/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: গ্যাস সংকটের কারণে চরম ভোগান্তিতে দিন পার করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা। গ্যাস না থাকায় ঠিক সময়ে সকালের নাস্তা সরবরাহ করতে পারছে না ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষ। এতে শিক্ষার্থীদের ছুটতে হচ্ছে অন্য হলে। অনেক সময় মিস হচ্ছে ক্লাস।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হলের একাধিক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে জানান, গ্যাসের এই প্রাত্যহিক সমস্যার কারণে ক্লাসে যাওয়ার আগে তাদের বিপাকে পড়তে হয়। প্রত্যেকদিন সকালের নাস্তার জন্য অন্য হলগুলোতে দৌড়াদোড়ি করতে হয়।

এতে অনেক সময় নির্ধারিত সময়ে ক্লাসে উপস্থিত হতেও বিলম্ব হচ্ছে। অচিরেই এর সমাধান আবশ্যক।

ক্যান্টিন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল ৬টার পর লাইনে গ্যাস থাকে না। ফলে লাকড়ি দিয়ে রান্না করতে হয় তাদের। আর লাকড়িতে রান্না করতে গ্যাসের তুলনায় বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে। যার কারণে শিক্ষার্থীদের চাহিদামতো সময়ে নাস্তা সরবরাহ করা যাচ্ছে না। সকালে সবার চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন আইটেমের খাবার তৈরি করাও কঠিন হয়ে পড়ছে। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীকেই অন্য হলের ক্যান্টিনে যেতে হচ্ছে।

এদিকে হলের মেসে নিয়মিত খাবার খাওয়া চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, রাতে শেষ দিকে আসলে অনেক সময় দেখা যায় ভাত শেষ হয়ে যায়। তখন মেস থেকে বলা হয়, আজ গ্যাসের সমস্যা ছিল। গ্যাস থাকলে তখন কিন্তু ভাত রান্না করা সম্ভব হতো। আমরা অতিদ্রুত এর সমাধান চাই।

ক্যান্টিনের এক কর্মচারী বাংলানিউজকে বলেন, সকালে গ্যাস না থাকায় প্রতিদিন ক্যান্টিনে ৩৫০-৪০০ টাকার লাকড়ির প্রয়োজন হয়। এতে ক্যান্টিন মালিকেরও অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে ক্যান্টিন মালিক ইসমাইল বাংলানিউজকে বলেন, সকালে গ্যাস না থাকায় নাস্তা তৈরি করতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, নতুন হওয়ায় বিজয় একাত্তর হলের গ্যাসের লাইনটি তিতাস থেকে সরাসরি দেওয়া হয়নি। এজন্য এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। তিতাস থেকে সমস্যার সমাধান করতেও দেড় লাখ টাকার মতো লাগবে বলে জানা যায়। এছাড়া নতুন সংযোগ হওয়ায় সকালে লাইনে প্রেসার কম থাকে। রেগুলেটর সমস্যার কারণে এটি হচ্ছে। নতুন রেগুলেটর দিলে চাপ বাড়বে। রাতে লাইনে গ্যাস বেশি থাকায় সমস্যা হয় না।

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এজেএম শফিউল আলম ভূইয়া বাংলানিউজকে জানান, সমস্যাটি সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা অবহিত করেনি। তবে গ্যাস সমস্যা নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে তিনি চিঠি দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন আহম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, আমি এখনই বলে দিচ্ছি হলের তত্ত্বাবধায়ককে চিঠি লিখতে। তারপর আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে রেগুলেটর লাগিয়ে দেব। আর সমস্যা থাকবে না।

বাংলাদেশ সময়: ০৬১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৮
এসকেবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।