ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

ঢাবিতে দিনভর আন্দোলন, তদন্ত কমিটি গঠনের আশ্বাস

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
ঢাবিতে দিনভর আন্দোলন, তদন্ত কমিটি গঠনের আশ্বাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত ঢাবি ছাত্রীদের ছাত্রলীগ কর্তৃক নিপীড়নের ঘটনার বিচার দাবিতে দিনভর আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠনের আশ্বাস দিলে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে প্রক্টর অফিস ঘেরাও করা হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ফ্রন্টের নেতাকর্মীরা যোগ দিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীকে অবরুদ্ধ করে রাখে।

এসময় শিক্ষার্থীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন রহমান, মুহসীন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানী, সার্জেন্ট জহরুল হক হল শাখার সভাপতি সোহানুর রহমান, রোকেয়া হলের সভাপতি লিপি আকতার, ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল শাখার সভাপতি বেনজির হোসেন নিশি, কুয়েত মৈত্রী হল শাখার সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লাকে সাময়িক বহিষ্কার; ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে চিহ্নিতদের শাস্তি নিশ্চিত করা।

প্রক্টর ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা বললেও বিক্ষোভকারীরা মেনে নেননি। দুপুর ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। সেখানে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন খারাপ শব্দ চয়ন করে। পরবর্তীতে প্রক্টরসহ উপাচার্যের কার্যালয়ে যান শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা অবস্থান করে মিছিল করেন। আন্দোলনকারী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাসুদ আল মাহদী উপাচার্যের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের শাস্তির প্রক্রিয়া শুরু করবো। কোনো অপরাধী অপরাধ করে পার পাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ৪৮ ঘণ্টা কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন না করা হলে সোমবার (২২ জানুয়ারি) থেকে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়ার কথা বলেন।

গত ১১ জানুয়ারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ১৫ জানুয়ারি তারা ক্লাস বর্জন করে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। সেখানে আন্দোলনের সমন্বয়ক মশিউর রহমান সাদিককে ছাত্রলীগ কর্তৃক মারধর ও ছাত্রীদের নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
এসকেবি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।