ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

দুই ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক করেও ছেড়ে দিলো বেরোবি প্রশাসন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
দুই ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক করেও ছেড়ে দিলো বেরোবি প্রশাসন

বেরোবি,(রংপুর): বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি)  ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় পর পর দুই দিনে দুই ভুয়া ভর্তি পরীক্ষার্থীকে হাতেনাতে আটক করার পরও  ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) ও বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর)  পরপর দুইদিন দুই জালিয়াত  পরীক্ষার্থীকে ছেড়ে দেওয়ায়  মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে ক্যাম্পাসে।

গত বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এর ২০৪ নম্বর রুমে বিজ্ঞান অনুষদের ২য় শিফটের ভর্তি পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক সাব্বির আহমেদ চৌধুরী পরীক্ষার হলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার এডমিট কার্ডের ছবি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় এক ভর্তি পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এ সময় তার কথা ও কাগজের তথ্য না মিললে তিনি সাব-কন্ট্রোল রুমে তা জানান। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তাৎক্ষণিক কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

পরে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ শামসুজ্জামান উপস্থিত হয়ে তার কাগজপত্র আবারও যাচাই করার সময় পালিয়ে যায় ওই পরীক্ষার্থী।

এ বিষয়ে বুধবার ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা লোক প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক সাব্বির আহমেদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ঐ ভর্তি পরীক্ষার্থীর কাগজপত্র আমার কাছে যথেষ্ট সন্দেহজনক মনে হলে আমি প্রশাসনকে জানাই। পরে ফেলে যাওয়া কাগজপত্রও প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছি।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম শিফটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি হেয়াত মামুদ ভবনের ২য় তলার ২০১ নম্বর গ্যালারি রুমে  উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার এডমিট কার্ড স্ক্যান করে সম্পাদনা করে আনার কারণে ঐ রুমের দায়িত্বরত শিক্ষক বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নিতাই কুমার ঘোষ  এক  ভর্তি পরীক্ষার্থীকে আটক করে তার ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ শামসুজ্জামানের কাছে হন্তান্তর করেন।

এই বিষয়ে শিক্ষক ড. নিতাই কুমার ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, ঐ পরীক্ষার্থীর এডমিট কার্ড দেখেই আমি বুঝতে পারি এটা ভুয়া। পরে তাকে পুলিশে দেওয়ার কথা বললে কান্নাকাটি শুরু করে। পরে তার কাগজপত্র ভুয়া প্রমাণিত হলে আমি সাব-কন্ট্রোল রুমে জানাই। পরে সেখান থেকে সহকারী প্রক্টর  মুহাম্মদ শামসুজ্জামানের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয় । পরীক্ষা শেষে সেই শিক্ষার্থীর বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে শুনি সে পালিয়ে গেছে।

তিনি এ সময় জালিয়াত পরীক্ষার্থীকে পালাতে সাহায্য করার দায়ে ওই সহকারী প্রক্টরকে  অভিযুক্ত করেন।

এদিকে পরপর দুইদিন দুই ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করার পরও তাদের পালিয়ে যাওয়ার  বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ শামসুজ্জামানকে একাধিকবার মোবাইলে কল দেওয়া হলে তিনি  রিসিভ করেননি।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) ড. আবু কালাম মো. ফরিদ-উল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গতকালের ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত নই তবে আজকের ঘটনায় ঐ পরীক্ষার্থী মূল কাগজপত্র না আনায় তার পরীক্ষা বাতিল হয় এবং তাকে সাথে সাথে বের করে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০,২০১৭
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।