ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

হল বন্ধের সিদ্ধান্তে বিপাকে বেরোবির শিক্ষার্থীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
হল বন্ধের সিদ্ধান্তে বিপাকে বেরোবির শিক্ষার্থীরা

বেরোবি (রংপুর): বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ছেলেদের দুইটি ও মেয়েদের একটি আবাসিক হল বন্ধের সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। 

আগামী ২৬ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ২৫ থেকে ৩০ নভেম্বর সকল একাডেমিক ক্লাস-পরীক্ষাসহ তিনটি আবাসিক হল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন। এ সময়ের মধ্যে পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা ব্যতীত ক্যাম্পাসে অন্যান্যদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

হল বন্ধ রাখার এমন  সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে বিপাকে পড়েছেন তিনটি হলের প্রায় হাজারখানেক শিক্ষার্থী। ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে হাজারো পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকের জন্য ক্যাম্পাসের আশেপাশে আবাসন সংকট দেখা দেবে তার ওপর আবাসিক হল বন্ধ করে দেওয়ায় শিক্ষার্থী আরও মুশকিলে পড়বেন বলে জানান তারা।

আবাসিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, ৫ দিন হল বন্ধ রাখলে শিক্ষার্থীদের থাকা ও খাওয়ার বেশ সমস্যা হবে। আশপাশের মেসে নিয়মিত শিক্ষার্থী ও ভুর্তিচ্ছুরা অবস্থান করবে। ফলে কোনো মেসে থাকারও সুযোগ নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থী সোহেলের অভিযোগ, অনেক পরিচিত পরীক্ষার্থী আসবে। এখন নিজেরই থাকার জায়গা নাই। তাদের কোথায় রাখবো, আর নিজেই কোথায় থাকব? 

ভর্তি জালিয়াতি বা বিশৃঙ্খলা ঠেকাতেই হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভর্তি জালিয়াতির সাথে শিক্ষার্থীদের হল বন্ধ করার কোনো যুক্ত নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জালিয়াতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না।

বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তপন কুমার বাংলানিউজকে বলেন, বিগত কয়েক বছরের ভর্তি জালিয়াতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতা ছিল। সে বিষয়ে ব্যবস্থা না নিয়ে হল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হিটলার কিবরিয়া বাংলানিউজকে বলেন, যদি জালিয়াতি নিরোধ করার জন্য হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে ডরমিটরিও বন্ধ করতে হবে। কেননা এর আগে এই ডরমিটরি থেকেই জালিয়াতির অভিযোগ এসেছিল।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য আশিকুন নাহার চৌধুরী টুকটুকি বাংলানিউজকে বলেন, এমনিতেই শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট রয়েছে তার ওপর এমন সিদ্ধান্তে আবাসিক মেয়েরা অনিরাপত্তায় ভুগছে। ছেলেরা হুট করে বাইরের পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারলেও মেয়ে শিক্ষার্থীরা হঠাৎ করে বাইরে কোথায় থাকার ব্যবস্থা করবে?

হল বন্ধের বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হবে তবে আবাসিক হলগুলো পরীক্ষা কেন্দ্রের খুব কাছাকাছি হওয়ায় শৃঙ্খলার স্বার্থে হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।