ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

বেরোবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

বেরোবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
বেরোবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ বেরোবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ। ছবি: বাংলানিউজ

বেরোবি (রংপুর): বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় নীল দলের আয়োজনে ক্যাম্পাসে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

নীল দলের সভাপতি ড. শফিক আশরাফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. তুহিন ওয়াদুদ, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শাহীনুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক এটিএম জিন্নাতুল বাশার প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছয়টি অনুষদের মধ্যে তিনটি অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগ ও দফতরসহ ১২টি পদ একাই ধরে রেখেছেন। লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষকের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না।  

যার ফলে বিভাগটির কার্যক্রম অনেকটা অচল হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রপতির নিয়োগপত্রে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করার শর্ত দেওয়া থাকলেও তিনি নিয়োগ পাওয়ার পর ২০শতাংশ ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন।  

টকশোর নামে বেশির ভাগ দিন তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করেছেন এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নয়জন শিক্ষকের আপগ্রেডেশন আটকে রাখা হয়েছে যা প্রতিহিংসামূলক। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চারজন শিক্ষকের আপগ্রেডেশনের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কোনো কারণ ছাড়াই রিপুল কবিরের আপগ্রেডেশন বোর্ড অংশগ্রহণ আটকে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ ও মার্কেটিং বিভাগের দুই শিক্ষকের চার বছর অতিবাহিত হলেও চাকরি স্থায়ী করা হয়নি।
 
এছাড়াও কিছু কিছু বিভাগে দুই বছরের বেশি সেশনজট থাকলেও তা নিরসনে উপাচার্য কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে একটি গ্রুপের হাতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার অনানুষ্ঠানিক দায়িত্ব দিয়েছেন। যারা বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি করছে।
  
মানববন্ধনে বুধবার (১৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিতব্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আপগ্রেডেশন বোর্ডে রিপুলের ভাইভা কার্ড ইস্যু করা না হলে ভাইভা বোর্ডের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে শিক্ষক-কর্মকর্তা পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগ্য শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আহবান জানানো হয়।

এ সময় ব্যক্তিগত কাজে এভাবে ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করলে ভবিষ্যতে উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ার হুমকি দেন বক্তারা।  

মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।