ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

উদ্ধার হয়নি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে ৯শ' উত্তরপত্র

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
উদ্ধার হয়নি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে ৯শ' উত্তরপত্র

বরিশাল: বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে উধাও হওয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে ৯শ’ উত্তরপত্র দুই দিনেও উদ্ধার হয়নি।পাশাপাশি সন্ধান পাওয়া যায়নি উত্তরপত্র বহনকারী অটোরিক্সা কিংবা এর চালকেরও।

তবে এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ (সাধারণ ডায়েরি) দেয়া হয়েছে, পাশাপাশি পরীক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বিকল্প উত্তরপত্রের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

গত শনিবার দুপুরে নগরের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ডিগ্রী পাশ ও সার্টিফিকেট কোর্স-২০১৬ এর প্রায় সাড়ে ৯ শত উত্তরপত্র খোয়া যায়।

থানা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বরিশাল আঞ্চলিক কেন্দ্র  সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার ডি. কে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমী এন্ড কলেজ কেন্দ্রের জন্য উত্তরপত্রগুলো নেয়া হয়। শনিবার দুপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বরিশাল আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে উত্তরপত্র নিয়ে মাদারীপুর যাওয়ার জন্য ওই কলেজের প্রভাষক মহিউদ্দিন তালুকদার একটি অটোরিক্সা ভাড়া করে নতুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশে যাত্রা করেন।

নতুল্লাবাদ পৌঁছে তিনি উত্তরপত্রগুলো অটোরিক্সায় রেখে চালককে দাঁড়াতে বলে বাসের কাউন্টারে টিকিট কাটার জন্য যান। ফিরে এসে আর অটোরিক্সাটি খুঁজে পাননি। সাথে উত্তরপত্রও উধাও ছিলো।

প্রভাষক তালুকদার মহিউদ্দিন জানান, তার কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রের জন্য ৫৫০টি সাদা উত্তরপত্র ও অতিরিক্ত  ৪০০টি উত্তরপত্র ছিলো সেখানে। তিনি ঘটনার পরপরই ট্রাফিক পুলিশের সহায়তা নেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন, অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্ধান না পেয়ে এয়ারপোর্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি জানার পরপরই পুলিশ পরীক্ষার উত্তরপত্র উদ্ধারে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে। তবে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত এর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। খোঁজ অব্যাহত রয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বরিশাল আঞ্চলিক পরিচালক ড. অলক কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া উত্তরপত্র সহ অটোরিক্সাচালক উধাও হওয়ার পরই ওই শিক্ষক বিষয়টি তাদের অবহিত করেছেন। পাশাপাশি সাধারণ ডায়েরির একটি কপিও দিয়েছেন।

অটোরিক্সায় উত্তরপত্র রেখে টিকিট কাটতে যাওয়াটা দায়িত্ব অবহেলা, তবে ওই কেন্দ্রের পরীক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চালু রাখতে নতুন করে উত্তরপত্র সরবরাহ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অটোরিক্সাচালক সৎ না অসৎ উদ্দেশ্যে এগুলো নিয়ে গেছেন তা তো বলা যাচ্ছে না, তবে গায়েব হওয়া উত্তরপত্রগুলো অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের চেষ্টা করার জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে।

শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় এই সাদা উত্তরপত্র কেউ সংগ্রহ বা বিক্রি করতে পারবে না।

বাংলা‌দেশ সময় : ১০৪৫ ঘন্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
এমএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।