ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

জাবিতে ভাইবার সময় জালিয়াতির অভিযোগে আটক ৪ শিক্ষার্থী

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
জাবিতে ভাইবার সময় জালিয়াতির অভিযোগে আটক ৪ শিক্ষার্থী আটক ৪ শিক্ষার্থী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: উত্তরপত্রের লেখার সঙ্গে হাতের লেখার মিল না পাওয়ায় সাক্ষাৎকার দিতে আসা চার শিক্ষার্থীকে আটক করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন। পরে জালিয়াতির অভিযোগ স্বীকার করলে সন্ধ্যায় তাদের আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

রোববার (১২ নভেম্বর) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন অনুষদে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় আটক হয় চার শিক্ষার্থীকে।

আটকরা হলেন- মাহবুব হোসেন, ইমাম হোসেন, অমিত হাসান ও আশিকুল হাসান রবিন।

এদের মধ্যে তিনজন জালিয়াতির কথা স্বীকার করলেও রবিন বিষয়টি অস্বীকার করেন।

প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, আদমদিঘি উপজেলার তহিদুল ইসলামের ছেলে মাহবুব হোসেন। তিনি ভর্তি জালিয়াতি চক্রের সদস্য সনদের সঙ্গে সাড়ে তিন লাখ টাকা চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী মাহবুবের পরিবর্তে সনদ পরীক্ষা দেন। তাতে মাহবুব ‘ই’ ইউনিটে (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) ৩য় স্থান লাভ করেন। তার ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর- ৫৩০৯৪২। তিনি বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।

ইমাম হোসেন ময়মনসিংহ জেলার সদর থানার হাফেজ আব্দুল মান্নানের ছেলে। ছয় লাখ টাকার বিনিময়ে রাহাত নামের এক শিক্ষার্থী তার হয়ে প্রক্সি দেন। তিনি ‘এফ’ ইউনিটে (আইন ও বিচার অনুষদ) ৩য় স্থান লাভ করেন। তার ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর- ৬৩৭৩৪৪। তিনি ময়মনসিংহ আনন্দমহন কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

অমিত হাসান ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের হারেছ মিয়ার ছেলে। তার পরীক্ষাও ছয় লাখ টাকার বিনিময়ে সনেট দিয়ে দেন। এতে তিনি ‘এইচ’ (আইআইটি) ইউনিটে ১১তম স্থান লাভ করেন। তার ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর- ৮১২৬৮৬।

অন্যদিকে আশিকুল হাসান রবিন কুষ্টিয়া জেলার সদর থানার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। তিনি ‘এফ’ (আইন ও বিচার অনুষদ) ইউনিটে ১৬তম স্থান লাভ করেন। উত্তরপত্রের লেখার সঙ্গে তার হাতের লেখার মিল না পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়। কিন্তু তিনি জালিয়াতির কথা স্বীকার করেননি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, ভর্তি জালিয়াতির কথা স্বীকার করায় তাদের আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শন মো. নয়ন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ অনুযায়ী তাদের আটক করা হয়েছে। থানায় নিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad