ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য, কোচিং চলবে না: শিক্ষামন্ত্রী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য, কোচিং চলবে না: শিক্ষামন্ত্রী বক্তব্য রাখছেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা

ঢাকা: শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য চলবে না, নোট বই বিক্রি চলবে না এবং কোচিং চলবে না বলে হুঁশিয়ার করলেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আইডিইবি ভবনে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর আয়োজিত চীনে সরকারের স্কলারশীপ প্রাপ্ত কারিগরি শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।


কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব ও কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারমান মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) সভাপিত এমএ হামিদ।


নতুন করে নীতিমালা হচ্ছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকরা হচ্ছে জাতি গড়ার কারিগর। কিন্তু কিছু শিক্ষক বিদ্যালয়ে সঠিকভাবে পাঠদান না করে কোচিং বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন। টাকার বিনিমেয়ে পরীক্ষার প্রশ্ন দিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের। এটা হতে দেওয়া হবে না। তারা যাতে এসব করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বর্তমানে দেশে ৫ শতাধিক বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান মালিকদের উদ্দেশ্য করে নাহিদ বলেন, আপনারা নিজেদের মালিক পরিচয় না দিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে ভাবুন। কারণ মালিক শব্দটি থাকলেই মনে হয়, ব্যবসা করতে হবে, মালিক মানেই মুনাফা, শিক্ষাটাকে ব্যবসার খাতায় নেবেন না।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকরা সবাই কোটিপতি উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, আপনাদের টাকার অভাব নেই। তাই আশা করছি, আপনারা সাবাই কারিগরি শিক্ষায় অবদান রাখবেন। কারিগরি শিক্ষার প্রতি দৃষ্টি রাখবেন।

তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তারা একসময় নিজেদের মালিক হিসেবে চিহ্নিত করতো। এখন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে ট্রাস্ট্রি বোর্ড। আর মালিকরা নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রকাশ করে। এখন সব বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ম কানুনের মধ্যে চলছে।

স্কলারশীপের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার জন্য চীনে পড়তে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া ৩৪৯জন শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম এক সঙ্গে (৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং) এতো জন কারিগরি শিক্ষায় উচ্চতর শিক্ষার জন্য বিদেশ যাচ্ছো। তোমরা যদি সফলতার সঙ্গে পড়াশুনা শেষ করতে পারো, তাহলেই আমরা খুশি হবো।

মনে রাখবে, তোমরা সবাই বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। তোমরা তোমাদের চরিত্র, সততা দিয়ে দেশের মানসম্মান রক্ষা করবে। মনে রাখবে তোমাদের ভুলের কারণে যেন আমরা বঞ্চিত না হই। কারণ তোমরা এই প্রথম দেশের বাইরে শিক্ষা অর্জন করতে যাচ্ছো। তোমরা ভাল করলে পরবর্তীতে আরো বেশি শিক্ষার্থী সেই দেশে যাবে। তোমরা ভালো করলে দেশের সম্মান বাড়বে। দেশের কারিগরি শিক্ষার মান আরো উন্নত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা,  সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
এমএফআই/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।