ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

সরকারি প্রাথমিকে ৫৩ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৭
সরকারি প্রাথমিকে ৫৩ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান

ঢাকা: সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৩ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক পদে ২১ হাজার এবং সহকারী শিক্ষক পদে ৩২ হাজার পদ শূন্য রয়েছে।

বুধবার (০৬ আগস্ট) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান।

প্রাথমিকে মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য পরীক্ষা নিলাম। তাদেরও নিয়োগ দিতে পারি নাই। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাই করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের যে সংখ্যক শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পিএসসি’র মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হয়। আমাদের পক্ষ থেকে বলেছিলাম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে যারা লিখিত পরীক্ষায় টিকে তাদের দিয়ে দেওয়া হোক। ভাইবার দরকার নাই। আমরা সব নিয়ে নেবো। এতে আমরা ধন্য হব।

আগামী শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালিত হবে। ‘স্বাক্ষরতা অর্জন করি, ডিজিটাল বিশ্ব গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশেও পালিত হবে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস। প্রতিবারের মতো এবারও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, সংগঠন, এনজিও, শিক্ষক এবং শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে দিবসটি পালন করার উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।  

৮ সেপ্টেম্বর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় দিবসটির উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী দেশে বর্তমান স্বাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৩ শতাংশ। বর্তমান সরকারের নানামুখী কর্মসূচির কারণে পূর্বের তুলনায় স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনও প্রায় ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ জনগোষ্ঠী নিরক্ষর।

স্বাক্ষরতার সংজ্ঞা তুলে ধরে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বাক্ষরতা মানে শুধু লিখতে পড়তে পারলেই হবে না। আমরা স্বাক্ষরতা বলতে বুঝি, যিনি লিখতে পারেন, পড়তে পারেন, শব্দ গঠন করতে পারেন এবং খবরের কাগজ পড়তে পারেন তাকেই স্বাক্ষরতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিবিএস-এ কী ভিত্তিতে করেছে তা আমাদের জানা নেই।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, যেখানে যত স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত তা সংস্কার করা হবে। যেভাবে ক্ষতি হয়েছে সেভাবেই ঠিক করা হবে। সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ জরিপ করে কাজ শুরু হবে। একই সঙ্গে ২০১৮ সালের জানুয়ারির মধ্যে কোথাও খোলা আকাশের নিচে পাঠদান থাকবে না বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।