ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে কুবি শিক্ষককে প্রশাসনের চিঠি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৭
ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে কুবি শিক্ষককে প্রশাসনের চিঠি প্রশাসনের চিঠি পৌঁছেছে সহকারী অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামানের কাছে

কুমিল্লা: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং শিক্ষক সমিতির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামানকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে প্রশাসন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এ চিঠি বুধবার (৯ আগস্ট) মো. আসাদুজ্জামানের কাছে পৌঁছায়। এই চিঠি দেওয়াকে ‘উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে দুর্নীতি, দায়সারাভাবে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলে গত ৩১ জুলাই ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দেন আসাদুজ্জামান।  

চিঠিতে এ অভিযোগের বিষয়ে তথ্য-প্রমাণাদিসহ লিখিত বক্তব্য রেজিস্ট্রারের কাছে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়।

এ বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্বয়ং উপাচার্যই বলেছেন, ভাস্কর্য নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। আমি এর প্রেক্ষিতেই ফেসবুকে লিখেছি। আর প্রথমে যদি মানসম্মত নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হতো, তাহলে আগের ভাস্কর্য সরিয়ে নতুন ভাস্কর্য কেন বসানো হলো? উপাচার্যের দমনমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে। ’

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘উপাচার্যের নির্দেশক্রমে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষকের কাছে কোনো তথ্য-প্রমাণ থাকলে তাকে তা উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। ’

এদিকে আসাদুজ্জামানকে চিঠি দেওয়ার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ।  

শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. আবু তাহের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘উপাচার্য খামখেয়ালিপনায় মেতে উঠেছেন। শুধু ওই শিক্ষকের নয়, শিক্ষক সমিতির কথাই ছিল যে, ভাস্কর্য নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। যার কারণে ত্রুটিপূর্ণ ভাস্কর্য সরিয়ে নতুনভাবে বসানো হয়েছে। ’

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংকুচিত জায়গায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিকৃত ভাস্কর্য নির্মাণ করায় শিক্ষক সমিতি, শাখা ছাত্রলীগসহ অনেক সংগঠন প্রতিবাদ করে। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও এ নিয়ে খবর প্রকাশ হওয়ায় সেই ভাস্কর্য সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় প্রশাসন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।