ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

সাত কলেজের জটিলতার পথ খুলছে শিগগিরই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
সাত কলেজের জটিলতার পথ খুলছে শিগগিরই সিদ্দিকুরকে দেখতে যান শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা: প্রধ‍ানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে সরকারি সাত কলেজের জটিলতা নিরসন দ্রুতই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত সাত কলেজের পরীক্ষার সূচি ঘোষণার দাবির আন্দোলনে অংশ নিয়ে অন্ধ হতে বসা সিদ্দিকুর রহমানকে দেখেও এসেছেন শিক্ষামন্ত্রী।

পরীক্ষার সূচি ঘোষণার দাবিতে সাত কলেজের আন্দোলনে গত ২০ জুলাই শাহবাগে পুলিশের টিয়ারশেলে আহত হন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর।

রোববার (২৩ জুলাই) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়া সাত কলেজের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, গত বছর প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাপ কমানোর জন্য কলেজগুলোকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় দেওয়া, আগেও এমন নিয়ম ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের খুব আগ্রহ ছিল এবং তিনি নিজেও আমাদের ওপর চাপ দিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে আমরা প্রথম সাতটা কলেজকে দিয়েছিলাম। সব ব্যবস্থা করতে পারবেন বলে তিনি জানিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তো আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না, আইন যার যার মতো আছে এবং তিনি নিয়েছেন, সেই নিয়মানুযায়ী হয়েছে। আমরা উদ্বিগ্ন এই বিষয়গুলো নিয়ে।

জটিলতা নিরসনে এইচএসসির ফল হস্তান্তরের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাত কলেজ নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।  

তিনি বলেন, আজকে সকালে প্রধানমন্ত্রী, তার কর্মকর্তা এবং আমাদের সচিব মহোদয়সহ… ইতোমধ্যে কিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ছেলেমেয়েদের বিষয়ে। আসার পর এখনি কল করেছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি সেটা জানতে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও কথা বলবেন। যতুটুকু সম্ভব যা করা সম্ভব চেষ্টা করবো।

আজকের উদ্যোগের ফলে একটা পথ তারা বের করবে বলেও জানান নাহিদ।

উদ্যোগটা কী- জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীসহ তার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে বলেছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাযের্র সাথে কথা বলা হচ্ছে, আবার বলা হবে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তের সিদ্ধান্ত হয়।

বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি না হওয়া প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় নিজেই আগ্রহী হয়ে নিয়েছে, আমরা শতভাগ টাকা দেই, ক্ষমতা আমাদের শূন্যভাগ। আমরা শৃঙ্খলের মধ্যে পাই না। যার ফলে আমরা তাকে রিকুয়েস্ট করছি এবং সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হবে।

আহত শিক্ষার্থী প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা খুবই দুঃখিত যে আমাদের একজন শিক্ষার্থীর চোখ নষ্ট হয়েছে। আমাদের অন্যান্য কর্মকর্তারা গিয়েছিলেন। সবাই সবাইকে চেনে না। আমি অন্য কাজে ছিলাম। ফলাফলের জন্য সময় দিতে হয়েছে। আমরা লোক পাঠিয়েছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিকেলে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন সিদ্দিকুর রহমানকে দেখতে যান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি সিদ্দিকুরের শয্যাপাশে কিছু সময় অবস্থান করেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।  

এ সময় তিনি সিদ্দিকুরের মা ও ভাইয়ের সাথেও কথা বলেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন। তিনি উপস্থিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথেও কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী সিদ্দিকুরের চিকিৎসার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

এ সময় ডাক্তাররা তাকে জানান, সিদ্দিকুরের চিকিৎসার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ যত্নবান রয়েছে। তার চিকিৎসার ব্যাপারে আজ দু’বার মেডিকেল বোর্ডে আলোচনা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।