ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

বিজ্ঞান গবেষণায় বিশেষ বরাদ্দ, খুশি শিক্ষার্থীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৪ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১৭
বিজ্ঞান গবেষণায় বিশেষ বরাদ্দ, খুশি শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান গবেষণায় বিশেষ বরাদ্দ, খুশি শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট ঘোষিত হয়েছে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত নতুন এ বাজেটে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে সর্বমোট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা।

যা মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ৪ ভাগ। এর মধ্যে শুধুমাত্র শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা।

শিক্ষাসহ জাতীয় বাজেট নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মতামত জানিয়েছেন বাংলানিউজের কাছে।

বাজেটে বিজ্ঞানভিত্তিক উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় ২০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ রাখার বিষয়টির প্রশংসা করেছেন অনেক শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দীন হলের শিক্ষার্থী রিয়াজ হোসাইন বলেন, জাতীয় বাজেটের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাজেটেও গবেষণা সব সময় অবহেলিত খাত হিসেবে থেকেছে। কিন্তু এবারের বাজেটে বিজ্ঞান গবেষণায় বিশেষ বরাদ্দের ফলে এ খাতকে উৎসাহিত করা হয়েছে। জাতীয় বাজেটের মতো বিশ্ববিদ্যালয় বাজেটেও গবেষণায় বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে আমি মনে করি।

শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানো হলেও এটিকে অপ্রতুল মনে করছেন অনেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বাংলানিউকে বলেন, শিক্ষায় বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানো হলেও বর্তমান সামগ্রিক চাহিদার নিরিখে খুবই অপ্রতুল। জিডিপির কমপক্ষে ৪-৬ ভাগ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সেটি দেওয়া হয়েছে ২ দশমিক ৯ ভাগ। শিক্ষাখাতে এ রকম বরাদ্দ দিয়ে বাংলাদেশকে একটি কল্যাণমুখী কার্যকর রাষ্ট্র গড়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়।

তিনি বলেন, বাজেটে নতুন করে কর আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু গত একবছরে দেশের নাগরিকের জীবনযাত্রার মান খুব বেশি উন্নত হয়নি। সেখানে এ ধরনের কর ও শুল্কারোপ বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এমবিএর শিক্ষার্থী জোবায়ের উদ্দীন আরমান বলেন, প্রতিবছরই আমাদের বাজেটের আকার বড় হচ্ছে। কিন্তু জবাবদিহিতার অভাব ও দুর্নীতি বাজেটের সফল বাস্তবায়ন হওয়া বাধাগ্রস্ত করে। দেশে আর্থিক কেলেংকারির ঘটনাও ঘটছে। এসব বিষয় দূর করতে সরকারকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সাদিয়া জামান বলেন, বাজেটের পরিমাণ অনেক বড়। সব খাতে মোটামুটি বরাদ্দ এসেছে। যদি তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয় তাহলে দেশের জনগণ এর সুফল ভোগ করবে। বাজেটের ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী মাহফুজা ইসলাম মারিয়াম বলেন, শিক্ষা খাতে বরাদ্দের অধিকাংশই শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাতে চলে যায়। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দেওয়া অর্থ থেকে গবেষণা ও প্রশিক্ষণমূলক কর্মসূচিতে ব্যায় বাড়ানো প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৭
আরআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।