ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

গাজীপুরের হাতিমারা হাই স্কুলে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৩ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
গাজীপুরের হাতিমারা হাই স্কুলে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ হাতিমারা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ-ছবি: বাংলানিউজ

গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের হাতিমারা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে বিশেষ ক্লাসের নামে কোচিং বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ নাসিমা ইয়াসমিন।

হাতিমারা স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাংলানিউজকে বলে, কোচিং না করলে পরীক্ষার সময় প্রবেশপত্র দেওয়া হবে না এমন ভয় দেখিয়ে আমাদের বাধ্য করা হচ্ছে কোচিং করতে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি বিষয়ে‍ দুইশত টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

তবে যাদের আর্থিক অবস্থা দুর্বল তাদের অনেকের কাছ থেকে কমও নেওয়া হয়। বিকেল ৪টায় স্কুল ছুটি হয়। এরপর থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলে ওই কোচিং।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশেষ ক্লাসের নামে কোচিং বাণিজ্য করে প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাখ টাকা। আর এসব অর্থ মাস শেষে ভাগ বাটোয়ারা করে নেন অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।

কলেজটিতে দুই হাজারের মতো শিক্ষার্থী রয়েছে। অষ্টম শ্রেণিতে ২৭৮ জন ও ১০ শ্রেণিতে ৩৬২জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত বলে জানা গেছে।

কলেজের কোচিং বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ নাসিমা ইয়াসমিন বাংলানিউজকে বলেন, স্কুলে কোনো ধরনের কোচিং করানো হয় না। দুর্বল শিক্ষার্থীদের বিশেষ ক্লাস করানো হয়। যাতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় ভালো করতে পারে। এজন্য প্রতি বিষয়ে দুইশ’ টাকা করে নেওয়া হয়। চার বিষয়ের ওপর বিশেষ ক্লাস করানো হলে প্রতি মাসে একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আটশ’ টাকা করে নেওয়া হয়।

কোনো শিক্ষার্থীর আর্থিক অবস্থা দুর্বল থাকলে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার বেতন কমানো হয়। আবার অনেকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয় না। এছাড়া কোনো শিক্ষার্থীদের ভয় দেখিয়ে কিংবা বাধ্য করা হয় না বিশেষ ক্লাস করতে, যোগ করেন নাসিমা ইয়াসমিন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটির সদস্য ও স্থানীয় কাউন্সিলর মো. সাইজ উদ্দিন মোল্লা বলেন, বাধ্যতামূলক কাউকে বিশেষ ক্লাস করানো হয় না। মন্ত্রী সাহেবের নিয়ন্ত্রণে প্রতিষ্ঠানটি চলে। এখানে অনিয়ম নেই। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গাজীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, স্কুল শুরুর আগে ও পরে শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারবে। কিন্তু কিছু নীতিমালা আছে। কোনো শিক্ষার্থীকে জোর করে বাধ্য করে পড়াতে পারবে না। যারা ইচ্ছা করে পড়তে চায় তাদের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি আছে, এর বেশি ফি নেওয়া যাবে না।

এ ব্যাপারে অভিযোগ করতে চাইলে কোনো শিক্ষার্থী নাম গোপন রেখে অভিযোগ করতে পারবে। সত্যতা পেলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

বাংলানিউজের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কলেজটিতে কোচিং অথবা বিশেষ ক্লাসের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমি ওই স্কুলের সঙ্গে এখন জড়িত নেই। এ ব্যাপারে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
এসজে/এএটি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।