ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

পাঠকক্ষ নেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণগ্রন্থাগারে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
পাঠকক্ষ নেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণগ্রন্থাগারে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার-ছবি: বাংলানিউজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে পাঠকদের জন্য নিজস্ব কোনো কক্ষ নেই। ১৯৯৩ সালে শহরের টি এ (তোফয়েল আজম) রোডে গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ অবস্থা চলছে। ২০১২ সালে স্থান পরিবর্তন করে কুমারশীল মোড়ে গণগ্রন্থাগারের নতুন আধুনিক একটি ভবন নির্মাণ হলে সে ভবনেও আলাদা রিডিং রুম করা হয়নি। ফলে একমাত্র সেমিনার কক্ষে বসেই বই পড়তে হয় পাঠকদের।

গ্রন্থাগারিক সাইফুল ইসলাম রিমন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন এ গ্রন্থাগারে দুইশ’র মতো পাঠক বই, পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিন পড়তে আসেন। তাদের জন্য আলাদা পাঠকক্ষ না থাকায় পাঠকের সংখ্যাটা দুইশ’র মধ্যেই আটকে থাকে।

তবে একতলা এ ভবনটি দোতলা করে আলাদা পাঠকক্ষ করা হলে পাঠকের সংখ্যা আরও বাড়তো বলে জানান তিনি।

গ্রন্থাগারিক আক্ষেপ করে বলেন, ৫০টি সেলফে প্রায় ২৩ হাজারের বেশি বই রাখা থাকলেও প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা দুইশ’র বেশি পাঠক আসে না। ফলে হাজারো বই অপঠিতই থেকে যায়।

গ্রন্থাগারে বই পড়তে আসা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রঞ্জিত মল্লিক বাংলানিউজকে বলেন, কয়েক বছর ধরে আমি এ লাইব্রেরিতে বই পড়ছি। কিন্তু  লাইব্রেরিতে নারী পাঠকের আনাগোনা খুব একটা চোখে পড়ে না। আলাদা কোনো পাঠকক্ষ না থাকার কারণেই মূলত নারী পাঠকরা এ লাইব্রেরিতে কম আসেন। গ্রন্থাগারে পড়াশোনা করছে শিক্ষার্থীরা-ছবি: বাংলানিউজআরেক বই পিপাসু মহিউদ্দিন ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, গ্রন্থাগারটিতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মারাত্মক দৃষ্টিকটু লাগে। এর প্রধান ফটকের পাশেই ময়লার ভাগাড়। তীব্র দুর্গন্ধের কারণে এর পাশ দিয়ে যেতে হয় নাকে ‍কাপড় চেপে। তাছাড়া গ্রন্থাগারটির সীমানা প্রাচীর খাটো হওয়ায় ভবঘুরে লোকজন এর ভেতরে ঢুকে পড়ে।

এসব সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রন্থাগারিক সাইফুল ইসলাম রিমন বলেন, ভবনটি দোতলা করে সেখানে একটি পাঠকক্ষ নির্মাণসহ এর সীমানা প্রাচীর উঁচু করতে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে ইতোমধ্যে আবেদন করা হয়েছে। তাছাড়া পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী সাহিত্য, উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, শিশু সাহিত্য, মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলন বিষয়ক বই, বিশ্বকোষ, ধর্মীয় বই, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় ইতিহাস-ঐতিহ্যের ওপর বইয়ের সরবরাহ আরও বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।

  আরও খবর...
** জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে বই আছে, পাঠক নেই!
** ‘জনবল ও অর্থ সংকটে’ বাংলা একাডেমি গ্রন্থাগার
** খুলনা বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের দুর্দশা চরমে
** ময়মনসিংহের আলোর পাঠশালায় দু’দিন তালা!
** বরিশাল গণগ্রন্থাগারের সেমিনার কক্ষও বেহাল!
** গরুর অভ্যর্থনা মৌলভীবাজার গণগ্রন্থাগারে!
** ফেনীর পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে জম্পেশ আড্ডা
** মানিকগঞ্জ সরকারি গণগ্রন্থাগার কুকুরের বিচরণক্ষেত্র!
** সপ্তাহে ৩ দিনই ছুটি দিনাজপুর পাবলিক লাইব্রেরিতে!‍
** কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরির হালচাল
** পাঠকের খোরাক সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরিতে

বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
আরবি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।