ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

তুলনামূলক জবি শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা শ্রেষ্ঠ

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
তুলনামূলক জবি শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা শ্রেষ্ঠ তুলনামূলক জবি শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা শ্রেষ্ঠ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে যতগুলো প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে তাদের মধ্যে তুলনামূলক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের পরিবেশনাই শ্রেষ্ঠ বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

মঙ্গলবার (২৮মার্চ) বেলা ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘ডায়মন্ড- ওয়ার্ল্ড আন্তর্জাতিক সংগীত উৎসব ২০১৭’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত বিভিন্ন রাষ্টীয় অনুষ্ঠানে যতগুলো প্রতিষ্ঠানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি তাদের মধ্যে পারফর্মেন্সের বিচারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনাই শ্রেষ্ঠ।

সাংস্কৃতিক চর্চায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তথা জগন্নাথ কলেজের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। মাঝে শূন্যতার তৈরি হলেও তা আবার নতুন উদ্যামে উজ্জীবিত হচ্ছে’।

তিনি আরো বলেন, ‘গত তিন বছর ধরে প্রতিবছরই জগন্নাথে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন হচ্ছে। তবে আমি চাইবো আগামীতে এই অনুষ্ঠানটি আরো বড় পরিসরে মুক্ত জায়গায় ৪-৫ দিনব্যাপী আয়োজন করা হোক। যা শুধু জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের নয়, পুরান ঢাকাবাসীর জন্যেও উন্মুক্ত থাকবে। প্রয়োজনে আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এই আয়োজনের পাশে থাকবে। ’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘আগে ঢাকা বলতে বর্তমান পুরান ঢাকাকেই বুঝানো হতো। পুরান ঢাকা কেন্দ্র করেই প্রাচীন বাংলার ইতিহাস, ঐহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছিলো। বিভিন্ন কারণে পুরান ঢাকা সাংস্কৃতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটতে শুরু করেছে। অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্ত্বেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের উৎসব আয়োজন করেছে যা আমাদের জন্য বিশাল প্রাপ্তি। ’

সংগীত উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও জবি সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান অনিমা রায়’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া, গীত উৎসব উদ্যাপন কমিটির সদস্য-সচিব ও বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান।

‘সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সংগীতানুষ্ঠানে ‘আনন্দধ্বণি জাগাও গগনে’ গানটি সম্মলিতভাবে গাওয়ার মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা করা হয়। এরপর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও আমন্ত্রিত অতিথিদের পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও উত্তরীয় পরানো হয় এবং ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

এদিকে, প্রথমদিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী শাহিন সামাদ, রবন্দ্রীসংগীত শিল্পী শামা রহমান, কন্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী ও লোক সংগীত শিল্পী সফি মন্ডল। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার ১১ জন শিল্পী এবং চীন থেকে আগত পাঁচজন শিল্পী সংগীত পরিবেশন করেন।

এছাড়া, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ছিল সমবেত গান, নজরুল গীতি, দেশাত্ববোধক গান, রবীন্দ্রসংগীত, চাকমা ভাষায় আঞ্চলিক গান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের আটজন শিক্ষার্থী বিশেষ নৃত্য পরিবেশন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
ডিআর/জিপি/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।