ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

চলছে গাড়ি, বাড়ছে জ্ঞান

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
চলছে গাড়ি, বাড়ছে জ্ঞান ভ্রাম্যমাণ ভ্যান লাইব্রেরি থেকে শিক্ষার্থীদের বই সংগ্রহ, ছবি: আরিফ জাহান, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়া: কারো হাতে গল্পের বই, কারো হাতে কবিতার। আবার কেউ বা সাধারণ জ্ঞানের বইয়ে ডুব দিয়েছে। সবাই নিজ নিজ পছন্দের বইটি বেছে নিতে ব্যস্ত। তাদের এই বই মিলবে সপ্তাহে মাত্র তিনদিন।

বগুড়ায় কয়েকজন স্বপ্নবাজ তরুণ ছেলেমেয়েদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস করতে, গড়ে তুলেছেন ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে লাইব্রেরি সুবিধা পৌঁছে দিতে ‘ভ্রাম্যমাণ ভ্যান লাইব্রেরি’ তাদের একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) এই লাইব্রেরি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে।

শুভ এ কাজের পথচলা শুরু হয়েছিল আরও চার বছর আগে। সচেতনতামূলক বিভিন্ন ধরনের কাজের লক্ষ্য নিয়ে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার কয়েকজন শিক্ষিত যুবক ‘দি অলটারনেটিভ ইউথ ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন।

সৈকত, রিকো, শোভন, আরিফ, মামুন, শুভ্র- সবাই ‘দি অলটারনেটিভ ইউথ ফোরাম’র সদস্য। তারা সবাই সোনাতলা উপজেলার বাসিন্দা। স্থানীয় কলেজে লেখাপড়া করেন। এর মধ্যে সৈকত মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। তিনিই মূলত এ কাজের প্রধান উদ্যোক্তা।

অলটারনেটিভ ইউথ ফোরামের সদস্য শোভন বাংলানিউজকে জানান, ছেলেমেয়েদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে ‘উজ্জীবন পাঠগৃহ’ নামে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়। পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ, রক্ত প্রদান-সংগ্রহসহ বেশ কিছু সামাজিক কাজ হাতে নিয়ে মাঠে নামেন তারা। এরই ধারাবাহিকতায় স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার সুবিধার্থে ‘ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে উপজেলা সদর ও আশেপাশের ১০টি পয়েন্টে সপ্তাহের তিনদিন এ লাইব্রেরির কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানালেন এ উদ্যোগের আরেক সহযাত্রী আরিফ। শিক্ষার্থীদের বইমুখী করতে এ উদ্যোগ সম্প্রসারণ করা হবে।

তিনি জানালেন, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি থেকে দেশ, স্বাধীনতা, সাহিত্য, কবিতা, গল্প, সাধারণ জ্ঞানসহ বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে পারবে শিক্ষার্থীরা।

সুবর্ণা, রানী, মানছুরা, সিয়াম, শাকিলসহ স্কুলপড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থী এসেছে বই পড়তে। তারা বাংলানিউজকে জানায়, লাইব্রেরিতে সুন্দর সুন্দর বই রয়েছে। অনেক গল্পের বই আছে। বইগুলো পড়ে ভীষণ মজা পেয়েছি। এর আগে কখনও এসব বই দেখিনি।
   
মরিয়ম নামে এক শিক্ষার্থীর বললো, আমার বাবা দিনমজুরের কাজ করে। খাতা-কলম কেনারই টাকা নেই। সেখানে অন্য বই কিনবো কী করে। এখন এই লাইব্রেরি থেকে নতুন নতুন বই পড়তে পারবে জেনে আমার খুব ভালো লাগছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআর/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।