ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

চবি’তে সন্ত্রাসী হামলায় ছাত্রলীগ কর্মী নিহত: শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

চট্টগ্রাম ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১০

চট্টগ্রাম: সন্ত্রাসী হামলায় মো. আসাদুজ্জামান (২৪) নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও এক ছাত্র নিহত হয়েছেন। তিনি একাউণ্টিং এন্ড ইনফরমেশন সাইন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।



বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন হাটহাজারী উপজেলার জোবরা গ্রামের কিছু দুস্কৃতিকারীর হামলায় গুরুতর আহত হয় আসাদ। রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর আজ শুক্রবার বিকেল পৌনে পাঁচটায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। আসাদের মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে ছাত্রলীগ।

এদিকে, আসাদের মৃত্যুর খবর জানাজানি হওয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে এবং আশাপাশের এলাকায় জড়ো হয়ে দফায় দফায় বিােভ মিছিল করেন। এছাড়া উত্তেজিত ছাত্রলীগ কর্মীরা বিপ্তিভাবে ওই এলাকায় তিনটি যানবাহনও ভাংচুর করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.এরশাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আসাদুজ্জামানকে হত্যার ঘটনায় শিার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগে আমরা ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি। এছাড়া পাঁচ দফা দাবি মেনে নিতে আমরা আগামীকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট আহ্বান করেছি। ’ তিনি বলেন,‘এলাকার দুস্কৃতিকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে পরিকল্পিতভাবে আসাদুজ্জামানকে হত্যা করেছে। ’

হামলার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাৎণিকভাবে রেলস্টেশন চত্বরে বিােভ শুরু করলে পুলিশ, গ্রামবাসী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে চার ছাত্রলীগ কর্মী সহ কমপে ১০জন আহত হয়। এছাড়া পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে সিটি মেয়র এবিএম চৌধুরী সমর্থিত ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
 
এদিকে সাধারণ গ্রামবাসীর উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ এনে স্থানীয় লোকজন শুক্রবার সকাল থেকে দিনভর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান দুটি গেইট ও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রাখে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবরূদ্ধ থাকে ভেতরে বসবাসকারীরা।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. জহির বাংলানিউজকে জানান, ‘বিকেল পাঁচটার দিকে লাশ মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আসাদের সহপাঠীরা উত্তেজিত হয়ে তিনটি গাড়ী ভাংচুর করেন ও দফায় দফায় মিছিল করেন। ’

নিহত আসাদের বাবা তাজুল ইসলাম খান। তাদের গ্রামের বাড়ী রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বিটি গ্রামে। সাত ভাই-বোনের মধ্যে আসাদুজ্জামান ছিল সবার ছোট।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৯৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।