ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

নোবিপ্রবি: ষষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

নিউ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১২
নোবিপ্রবি: ষষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

ঢাকা: শুক্রবার (২২ জুন) নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিন। এদিন নোবিপ্রবির ষষ্ঠ ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’।

বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজনের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে দিবসটি উদযাপন করা হয়। কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে আনন্দ শোভাযাত্রা, কেক কাটা ও আলোচনা সভা।

শুক্রবার সকাল ৯টায় কর্মসূচির শুরুতে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অনুষ্ঠানের উপাচার্য প্রফেসর এ কে এম সাঈদুল হক চৌধুরী কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: আবুল হোসেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আবদুল্লাহ-আল মামুন। আলোচনা সভা শেষে উপাচার্য মহোদয়ের নেতৃত্বে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের করেন। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান মারুফ উল আলম। প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি ছাড়াও অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হিসাব পরিচালক দফতরের সেকশন অফিসার সাখাওয়াত হোসেন, শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ড. মোহাম্মদ ইউসুফ মিঞা, প্রক্টর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সরকার, হিসাব পরিচালক জনাব আবদুল জলিল, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: আনিসুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোহাম্মদ সেলিম হোসেন।

উপাচার্য তার বক্তব্যের শুরুতে সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তুলতে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারি সহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযেগিতা কামনা করেন।

তিনি বলেন, নব প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অন্যান্য পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। এগুলো আমাদের প্রেরণা দেয়। বর্তমান সরকার এ বিশ্ববিদ্যালয়কে সার্বিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ রেখেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০১-এর ১৫ জুলাই সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপনে ‘নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১’ জারি হয়। এই আইন কার্যকর হয় ২০০৩ এর ২৫ আগস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৬ এর ২২ জুন।

বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি অনুষদের অধীনে ১০টি বিভাগ রয়েছে। বিভাগগুলো হচ্ছে ১. কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ২. ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স, ৩. ফার্মেসি, ৪. অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ৫. মাইক্রোবায়োলজি, ৬. গণিত, ৭. ইংরেজি, ৮. ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশন সায়েন্স, ৯. এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড হ্যাজার্ড স্টাডিজ এবং ১০. বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

ইতিমধ্যে আরও চারটি বিভাগ খোলার অনুমোদন পাওয়া গেছে। এগুলো হলো, ১. ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি, ২. ইকোনমিক্স অ্যান্ড পোভার্টি স্টাডিজ, ৩. বায়োটেকনোজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ৪. কোস্টাল এগ্রিকালচার। প্রথম চারটি বিভাগে মাস্টার্স কোর্সও চালু হয়েছে। স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা ২,০০০ জন। শিক্ষক রয়েছেন ৭২ জন এবং কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছেন প্রায় ১৭৫ জন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১২
সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।