ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

পুঁজিবাজারের অ‍াকারের সঙ্গে বেড়েছে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
পুঁজিবাজারের অ‍াকারের সঙ্গে বেড়েছে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা বিএসইসির রজতজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর গত ২৫ বছরে দেশের পুঁজিবাজারের আকার বেড়েছে ২২৮ গুণ। ধীরে ধীরে একটি শক্তভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে কমিশন। পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পাশাপাশি রেগুলেশন ও সুশাসন নিশ্চিত করেছে বিএসইসি।
 

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিএসইসি রজতজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ ও আনোয়ারুল ইসলাম।


 
সাইফুর রহমান বলেন, ১৯৯৩ সালের ৮ জুন প্রতিষ্ঠানটির যাত্রার শুরুর দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিলো ১ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা। এদিন ডিএসইতে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ ছিলো ১৪৯টি। সেখান থেকে গত ২৫ বছরে বাজারের আকার ২২৮ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৬২৭ কোটি টাকায়। তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭৪টিতে।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর ধীরে ধীরে একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে কমিশন। পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পাশাপাশি রেগুলেশন ও সুশাসন নিশ্চিত করেছে বিএসইসি।
 
কমিশন প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯৬ ও ২০১০ সালে বাজারে ধস হয়েছে, এখনো হচ্ছে? প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ আহমেদ বলেন, আমেরিকারসহ পৃথিবীর সব দেশেই অনেক ধসে হয়েছে। তাদের তুলনায় বাংলাদেশের বাজার নতুন। তাই ধস নেমেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না’।  
 
এর ব্যাখায় তিনি বলেন, আমাদের বাজারের কোম্পানিগুলো ছোট। রিটেইল ইনভেস্টর নির্ভর। ফলে সহজেই প্রভাব ফেলা যায়। তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নির্ভর হলে এ সমস্যা লাঘব হবে।
 
তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাইফুর রহমান বলেন, সার্ভিলেন্স সফটওয়্যার নামক অস্ত্রের অভাবে দু’বার ধস হয়েছে। তবে সার্ভিলেন্স সফটওয়্যার ২০১২ সালে বিএসইসিতে ইনস্টল করা হয়েছে। এখন স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের আওতায় তাদের বিচারও করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আর এ ধরনের সমস্যা হবে না।
 
ভালো কোম্পানির পরিবর্তে পুঁজিবাজারে খারাপ কোম্পানিকে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ আহমেদ বলেন, বিএসইসি ডিসক্লোজারভিত্তিক প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন দিয়ে থাকে। যাতে সরেজমিনে কোম্পানির বিস্তারিত দেখা হয় না। তাই ভবিষ্যতে কোম্পানিটি কেমন হবে, তা বলা সম্ভব হয় না।
 
তিনি বলেন, ভালো কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনতে অনেক প্রণোদনা রয়েছে। এই বাজারে তালিকাভুক্ত হলে ১০ শতাংশ কর রেয়াত সুবিধা পাওয়া যায়। যা বিশ্বের অনেক দেশেই নেই। তারপরেও অনেক কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত হতে চায় না। এর পেছনে রয়েছে উদ্যোক্তাদের ভ্রান্ত ধারণা।
 
উদ্যোক্তারা মনে করেন তাদের কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে, হাতছাড়া হয়ে যাবে। মাসে মাসে রিপোর্ট দিতে হবে। বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের মুখোমুখি হতে হবে। কোয়ারির জবাব দিতে হবে। এসব কারণে পারিবারিক কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসতে চায় না বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান ফরহাদ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
এমএফআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।