ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

শেষ সময়েও চাহিদা বেশি মাঝারি গরুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
শেষ সময়েও চাহিদা বেশি মাঝারি গরুর শেষ সময়েও চাহিদা বেশি মাঝারি গরুর-ছবি-বাংলানিউজ

পটুয়াখালী: রাত পোহালেই ঈদুল আযহা। সকালে নামাজ আদায় শেষেই শুরু হয়ে যাবে পশু কোরবানি। যারা এখনও পছন্দের পশুটি কেনেননি তারাই শেষ সময়ে হাটে যাচ্ছেন এবং শেষদিনে সকাল থেকে জেলার প্রায় সব পশুর হাটেই রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়। হাটগুলোতে দূর-দুরান্তের মৌসুমি ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন। 

ভালো দামে পশু যেমন বিক্রি করতে চাচ্ছেন বিক্রেতারা তেমনি একটি ভালো মানের গরু মানানসই দামে কিনতে চাচ্ছেন ক্রেতারা। তাই পছন্দের গরু, মহিষ, ছাগল কিনতে আগ্রহ নিয়ে হাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ক্রেতারা।

আবার পটুয়াখালীতে বিগত সময়ের থেকে গরুর খামারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া অনেকে পশু কেনার জন্য স্থানীয় খামারগুলোতে যাচ্ছেন।

এদিকে হাটের শুরু থেকেই পটুয়াখালী সদর, বাউফল, দশমিনা ও রাঙ্গাবালীর বেশ কিছু হাটে নিয়ম না মেনে খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ক্রেতাদের কাছ থেকে। তবে হাট ইজারাদাররা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।  

পটুয়াখালী সদরের হেতালিয়া বাঁধ ঘাট এলাকার পশুর হাটে গরু কিনতে যাওয়া হুমায়ুন ফকির বলেন, কর্মস্থল ঢাকায়। তাই সকালে এসে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছেন।  ভাইদের আর বাচ্চাদের নিয়ে পশুর হাটে এসেছি। বড় গরু নিয়ে কৃত্রিম আকারে মোটাতাজাকরণের শঙ্কা থাকায় মাঝারি ধরনের একটি গরু কিনতে চাচ্ছি।  

তবে হাটের বাইরে খামারি কিংবা গৃহস্থালির বাড়ি থেকে গরু কিনেছেন বহু ক্রেতা। দুইদিন আগে কোরবানির জন্য গরু কিনেছেন পটুয়াখালী পৌর শহরের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রথমদিকে বেশ কিছু হাটে গিয়েছিলাম। আকার-আকৃতির সঙ্গে গরুর দামের কোনো মিল পাইনি। তাই গ্রামের এক চাষির কাছ থেকে মাঝারি আকারের একটি গরু কিনেছি।

জেলার বিভিন্ন গরুর হাট থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, গরুর হাটগুলোতে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর সরবরাহই বেশি। আর কোরবানির জন্য ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষেও ছোট ও মাঝারি আকারের গরু। ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজারের মধ্যেই এসব হাটে গরু মিলেছে ক্রেতাদের। আর দুইদিন আগে থেকে প্রায় প্রত্যেকটি হাটেই বিক্রি ভালো হচ্ছে। তবে বড় আকারের কিছু গরু বিক্রি না হওয়ায় শঙ্কাও রয়েছে বিক্রেতাদের।  

এদিকে হাটগুলোতে ভারতীয় গরুর উপস্থিতি না থাকায় দেশি গরুতে বিগত সময়ের চেয়ে ভালো দাম পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন খামারি ও গরুর ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ এবারে পশুর দাম বিগত সময়ের থেকে অনেক বেশি।

গরু ব্যবসায়ী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি যশোর-কুষ্টিয়া থেকে বেশকিছু গরু কিনে নিয়ে এসেছেন। গরুগুলো দেশীয় প্রজাতির এবং প্রাকৃতিক নিয়মে মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। যে কয়েকটি বিক্রি করেছেন তার দাম নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট।  

হাটে আসা গরু বিক্রেতা ও স্থানীয় খামারিরা জানান, গরুর খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার গরু পালনে বেশি খরচ হয়েছে। তাই এবার গরুর দাম তুলনামূলক একটু বেশি।  

উল্লেখ্য, এবছর জেলায় অর্ধশতাধিক পশুর হাট রয়েছে, যেসব হাটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জাল টাকা শনাক্তকরণ ব্যবস্থা, মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার পাশাপাশি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গঠন করা হয়েছে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
এমএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।