ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

কক্সবাজার পশুর হাটে ক্রেতার অপেক্ষায় ব্যাপারীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
কক্সবাজার পশুর হাটে ক্রেতার অপেক্ষায় ব্যাপারীরা হাটে বিক্রির জন্য আনা গরু। ছবি: বাংলানিউজ

কক্সবাজার:  ঈদুল আজহার বাকি দুই দিন। সেই উপলক্ষে কক্সবাজার জেলার ৮টি উপজেলার স্থায়ী- অস্থায়ী মিলে মোট ৫৭টি পশুর হাট বসেছে।

হাটে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ বিক্রির জন্য ক্রেতাদের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যাপারীরা।  

এদিকে হাট এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ হাটে বসানো হয়েছে টাকা গণনা ও জাল টাকা শনাক্ত করণের মেশিন। পশু বিক্রির টাকা নিয়ে বিক্রেতারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে সে ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ। কিন্তু যাদের জন্য এতো আয়োজন সেই ক্রেতাদের দেখা মিলছে না হাটে।

রোববার (১৯ আগস্ট) বিকেলে ক্রেতা সমাগম বাড়বে বলে ধারণা করছে পশু বিক্রেতারা।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৭টি, রামুতে ৬টি, চকরিয়ায় ১১টি, পেকুয়ায় চারটি, উখিয়ায় ছয়টি টেকনাফে সাতটি, মহেশখালীতে নয়টি ও কুতুবদিয়ায় সাতটি পশুর হাট বসেছে। হাটে বিক্রির জন্য আনা গরু দেখছেন ক্রেতারা।  ছবি: বাংলানিউজ
হাটে আগত ব্যাপারীরা বলছে, পশুর হাট এখনো জমে উঠেনি। তবে কক্সবাজার সদর উপজেলার সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট খরুলিয়া, টেকনাফ পৌর পশুর হাট, টেকনাফ পাইলট হাইস্কুলের মাঠ পশুর হাট, ইলিশিয়া পশুর হাট, ঈদগাঁও পশুর হাটে তুলনামূলকভাবে পশু বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে কক্সবাজার পৌরসভার একমাত্র পশুর হাট খুরুশকুল। এ হাটে গত শনিবার থেকে পশু আসতে শুরু করেছে। তবে তেমন বিক্রি নেই এ হাটে।

খুরুশকুল হাটে বিক্রির জন্য গরু নিয়ে আসা আজিজুল হক বলেন, গত শনিবার থেকে এ হাট শুরু হয়েছে। এখানে প্রথম দিনেই আশানুরূপ পশু উঠেছে। তবে সে হারে বিক্রি হচ্ছে না। তবে অনেক ক্রেতা হাট ঘুরে ঘুরে পশু দেখছেন। কেউ কেউ আবার দর-দাম কষাকষিও করছেন।  

টেকনাফের সবচেয়ে বড় পশুর হাট টেকনাফ পাইলট হাই স্কুল মাঠ। গত শুক্রবার এ হাটে পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। এ হাটে স্থানীয় পশুর পাশাপাশি মিয়ানমারের গরু বেশি দেখা গেছে। ক্রেতার সমাগম বেশি হলেও এখনো তেমন বিক্রি হচ্ছে না। তবে ব্যাপারীরা আশা করছেন বিকেল থেকে বিক্রির ধুম পড়বে।

টেকনাফের হাটে বিক্রির জন্য গরু নিয়ে আসা ব্যাপারী আবদুল্লাহ মনির বলেন, দেশি ও মিয়ানমারের পশু রয়েছে এ হাটে। তবে বিক্রেতারা অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছে ক্রেতাদের।  

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে কোরবানি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য ২০টি মেডিকেল টিম ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।  

কক্সবাজার পুলিশ সুপার ড. এ কে এম ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিটি হাটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। বিভিন্ন ব্যাংকের সহযোগিতায় পুলিশ জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন জেলার গুরুত্বপূর্ণ হাটে বসিয়েছে। পাশাপাশি বিক্রেতারা যাতে টাকা পয়সা নিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে সেই লক্ষ্যে সড়কের নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে জেলায় ৫৭টি পশুর হাট বসেছে। সেখানকার বিকিকিনির পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
টিটি/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।