ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ব্যাংকিং

সঠিক কাগজ-পত্র উপস্থাপন না করায় রফতানি অর্থায়নে জটিলতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
সঠিক কাগজ-পত্র উপস্থাপন না করায় রফতানি অর্থায়নে জটিলতা অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রফতানিকারকরা সঠিক কাগজ-পত্র উপস্থাপন না করার কারণে অর্থায়নে জটিলতা তৈরি হয় বলে মনে করেন ৫৩ শতাংশ ব্যাংকার। আবার ৬৬ শতাংশ ব্যাংকারের মত, পোশাক খাতের অর্থায়নে বড় বাধা বিলম্বে রফতানি। তৈরি পোশাক খাতের অর্থায়নে ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদের সচেতনতা ও দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন। 

বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) ‘ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনস ইন আরএমজি বাই ব্যাংকস: রিস্কস অ্যান্ড মিটিগেশন টেকনিকস’ শীর্ষক কর্মশালায় উত্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে এমনটাই উঠে এসেছে।  

রোববার (১২ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী।

 

তিনি বলেন, ব্যাংকিং কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সেবা দক্ষতা ও কমপ্ল্যায়েন্স পুরোপুরি পরিপালনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এক্ষেত্রে ব্যাংকারকে আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আবার গ্রাহকদেরও সচেতন করার উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।  

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব।  

গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বিজিএমইএ পরিচালক মনির হোসেন, বিআইবিএমের সহকারী অধ্যাপক অন্তরা জেরীন, বিআইবিএমের সহকারী অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদুর রহমান, মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ টি এম নেসারুল হক, বিকেএমইএ-এর সহ যুগ্ম সম্পাদক ফারুক হোসেন ফারুক হোসেন।

মূল প্রবন্ধে বিআইবিএমের পরিচালক ড. শাহ মো. আহসান হাবীব বলেন, গ্রাহকদের ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্য সেবার মান আগের চেয়ে ভালো। তবে পুরোপুরি কমপ্ল্যায়েন্স মানার বিষয়টি বিশ্বব্যাপী উদ্বিগ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তৈরি পোশাক খাতে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি নিয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।  

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) চেয়ারম্যান এবং ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাংককে উদ্যোগ নিয়ে নজরদারি করতে হবে। এতে কোনো অসঙ্গতি থাকলে তাও দূর করা সম্ভব হবে।

বিকেএমইএ-এর দ্বিতীয় সহ সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, নানা কারণে ৬৫ শতাংশ রফতানি নির্দিষ্ট সময়ে করা সম্ভব হয় না। এটি বড় চ্যালেঞ্জ।  

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, পোশাক খাতের দক্ষ শ্রমিক সংকটের কারণে এ দেরি হয়।

গবেষণা কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপার নিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি, এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহমুদ হোসেন, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ শাহীন প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
এসই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।