ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

মৌচাক-মালিবাগ মার্কেটে ঈদের বেচাকেনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
মৌচাক-মালিবাগ মার্কেটে ঈদের বেচাকেনা ঈদের জন্য পাঞ্জাবি কিনতে এসেছেন এক ক্রেতা

ঢাকা: মৌচাক-মালিবাগের মার্কেটে বেড়েছে ঈদকেন্দ্রিক বেচাকেনা। গতবছরের তুলনায় এ বছর মার্কেটগুলোতে ছেলেদের পাঞ্জাবি-পায়জামা, জিন্স প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, মেয়েদের সেলোয়ার-কামিজ, থ্রি-পিস, ওড়না-হিজাব এবং পারফিউম কেনাবেচা ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

পাশাপাশি জুতার ব্যবসাও গত ঈদের তুলনায় বেশ ভলো। কিছু কিছু ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

 

শুক্রবার (১৫ জুন) বিকেলে রাজধানীর মালিবাগের আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স, মৌচাক মার্কেট, ফরচুন মার্কেটসহ লাগোয়া মার্কেটগুলো ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

পাঞ্জাবির জন্য সুপরিচিত আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের রংধনু দোকানের মালিক সাঈদ আনোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে দেশি-বিদেশি মোট ৬ হাজার নতুন পাঞ্জাবি এনেছি। এর মধ্যে ৩০টি নতুন মডেল রয়েছে। আজ পর্যন্ত আমাদের সাড়ে ৫ হাজার পিস বিক্রি হয়েছে।

তিনি বলেন, ৮শ’ থেকে শুরু করে সাড়ে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত পাঞ্জাবি বিক্রি করেছি। এবার গত বছরের চেয়ে বেচাকেনা ভালো হয়েছে।

একই মার্কেটে ৪০ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছেন সোনিয়া ফ্যাশনের মালিক মিজানুর রহমান দুলাল। তিনিও বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার ব্যবসা ভালো হয়েছে। এবার দেশি পাঞ্জাবির চেয়ে ভারতীয় পাঞ্জাবি বেশি বিক্রি হয়েছে। দেশি পাঞ্জাবির মধ্যে তরুণদের সাদা রংয়ে আগ্রহ ছিলো।

পায়জামা কিনতে আসা কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সালেহ বাংলানিউজকে বলেন, এখানে অন্যান্য এলাকার চেয়ে ভালো পাঞ্জাবি ও পায়জামা পাওয়া যায়, দামও কম। তাই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি।

আয়েশা শপিংয়ের পাশেই অবস্থিত ইউনিয়ন মাহাবুবা মার্কেটের কসমেটিক ও ব্যাগের দোকানদার মনিরুজ্জামানও বলেন, এ বছর ব্যবসা ভালো হয়েছে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্যারেন্টস গ্যালারি নামের এই দোকানে ৮শ’ থেকে ৫ হাজার টাকা দামের বিভিন্ন রকমের ব্যাগ, ট্রলি ব্যাগ বিক্রি করেছেন। মেয়েদের কসমেটিকসের মধ্যে মেহেদি ও পারফিউম বেশি বিক্রি হয়েছে।

মেজবাহ উদ্দিন প্লাজায় ছেলেদের জিন্সপ্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট ফতুয়া এবং কাকতুয়া মার্কেটের রং তুলি দোকানদার শাহদাত আলম বলেন, এবারের ঈদের ৭-৮ লাখ টাকা বিক্রির টার্গেট ছিলো। আজ পর্যন্ত ৫ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে। তিনি বলেন, গতবার বৃষ্টি ও রাস্তা খারাপ থাকার কারণে কেনাবেচা কম হয়েছে। এবার রাস্তাঘাট ভালো থাকায় ব্যবসাও একটু বেড়েছে।

ফরচুন মার্কেটে লু্ঙ্গি, গামছা ও টুপি দোকনদার নাসির হোসেন বলেন, ১৫ রোজার পর দোকানে ঈদের বেচাকেনা শুরু হয়। এ কয়দিনে ৪ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে।

একই মার্কেটের শাড়ি বিক্রেতা মহসিন হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা ভালো হয়েছে। তবে আরেকটু আশা ছিলো। এলাকায় দোকানপাট বেড়ে যাওয়া, ফুটপাতে বেচাকেনা হওয়াকে কারণ হিসেবে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
এমএফআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।