ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

শেষ সময়ে জমে উঠেছে খাগড়াছড়ির ঈদ বাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২২ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
শেষ সময়ে জমে উঠেছে খাগড়াছড়ির ঈদ বাজার পছন্দের শাড়ি কিনছেন ক্রেতারা। ছবি: বাংলানিউজ

খাগড়াছড়ি: এখন শুধু ক্ষণ গণনা। রাত পোহালেই ঈদ। ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটার সময় প্রায় ফুরিয়ে যাচ্ছে। তাই শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে খাগড়াছড়ির ঈদ বাজার। এবার ঈদ বাজারে বিভিন্ন ধরনের পাঞ্জাবি, সেলোয়ার-কামিজ, শাড়ি, শার্ট, মেয়েদের ভ্যানিটি ব্যাগসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাকের সমাহার ঘটেছে।

কাপড়ের সঙ্গে মানিয়ে পড়ার জন্য কসমেটিকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। তবে এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে নারীরা।

এছাড়াও ঐতিহ্যবাহি পাহাড়ি হস্তশিল্পের বিশেষ কদর। মাঝখানে টানা বৃষ্টি এবং জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কারণে বাজারগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় কম থাকলেও শেষ মুহুর্তে এসে জমে উঠেছে। পছন্দের পোমাক কিনছেন ক্রেতারা।  ছবি: বাংলানিউজক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ঈদকে কেন্দ্র করে বিপনিবিতানগুলো সাজানো হয়েছে বাহারি সাজে। খাগড়াছড়ির মিনি সুপার মার্কেটে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। দোকানগুলোতে ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নতুন ধরনের পোশাক ও পণ্য সামগ্রী দিয়ে সাজানো হয়েছে। তাই শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সীরা ঈদ বাজারের নেমে পড়েছে। বিশেষত দুপুর হলেই ক্রেতারা বাজারের দিকে ছুটতে শুরু করেন।

এদিকে পাহাড়ের ঈদ বাজারে কেবল বাঙালি মুসলিমরাই নয়, পাহাড়ি তরুণ-তরুণীরাও ভিড় করছেন নতুন জামা- জুতার ও কসমেটিকস কিনতে।

খাগড়াছড়ি মনিকা ব্রাদার্সের মালিক মো. ইদ্রিস বলেন, দুপুর ও ইফতারের পর ক্রেতাদের ভিড়টা একটু বেশি থাকে। বেচাকেনাও ভালো। তবে বৃষ্টি আর বন্যার কারণে মাঝখানে বেচাকেনা কিছুটা কম হয়েছে। ফ্যামিলি ফ্যাশনের মালিক মো. নজির হোসেন বলেন, ‘আমার দোকানে মূলত তরুণদের কাপড় বেশি। তরুণদের কথা মাথায় রেখে ঈদ উপলক্ষে নতুন নতুন শার্ট, প্যান্ট, টিশার্ট, পাঞ্জাবি এনেছি। বেচাকেনাও বেশ ভালো বলে জানান তিনি। এছাড়াও আমন্ত্রণ, জাফর ব্রাদার্স, গিফট ফ্যাশন, লিয়াকত ব্রাদার্সসহ বেশ কয়েকটি কাপড়ের বিপনিবিতানে ক্রেতার সমাগম বেশি।

এদিকে পাহাড়ি হস্তশিল্পের পোশাক ও হ্যান্ডিক্রাফট কিনতে জেলা শহরের বনানী, বেইন, বয়ন ওপাহাড়িকা টেক্সটাইলের দোকানসমূহে ক্রেতাদের আনাগোনা বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
এডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।