ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

একদিনের ব্যবধানে বেগুনের মূল্য দ্বিগুণ!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৬ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
একদিনের ব্যবধানে বেগুনের মূল্য দ্বিগুণ! কারওয়ান বাজারে দোকানে সাজিয়ে রাখা সবজি

কারওয়ান বাজার ঘুরে: রাজধানীর অন্যতম পাইকারি পণ্যের আড়ৎ কারওয়ান বাজারে একদিনের ব্যবধানে বেগুনের মূল্য দ্বিগুণ হয়েছে। একইসঙ্গে সপ্তাহ ব্যবধানে মাছ-সবজির মূল্য কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।

শনিবার (১৯ মে) সকালে কারওয়ান বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বাজারে একদিনের ব্যবধানে শুধু লম্বা বেগুনের দাম হয়েছে দিগুণ।

শুক্রবার যে বেগুন কেজিপ্রতি ৬০ টাকা বিক্রি হয়েছে শনিবার তা ১২০ টাকায়ও মিলছে না।

অন্যান্য সবজির মধ্যে ঝিঙা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচাকলার হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া (মাঝারি সাইজের) একটির দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, করলা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় আলু কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা, টমেটো ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

মাছের বাজারেও ঊর্ধ্বমুখী চিত্র। পাঙ্গাস মাছ গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহের দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সিলভার কার্প মাঝারি সাইজের কেজি ১৩০ টাকা, মাঝারি সাইজের তেলাপিয়া কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

রমজানের আগে ইলিশের দাম কম ছিল বলে জানান বিক্রেতারা। ৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতি হালি ইলিশ তিনদিন আগেও ২৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে যা শনিবার বিক্রি হচ্ছে ৩০০০ টাকায়। ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশও হালিপ্রতি বেড়েছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। ১৮০০ টাকা হালির ইলিশ শনিবার বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ টাকায়।

ছোট চিংড়ির দাম বাড়েনি। ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাগদা চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০, আর গলদা চিংড়ি (বড়) ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

৩/৪ কেজি ওজনের চিতল মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৫ কেজি ওজনের কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে। দেশি রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা।  

সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের মূল্য কেজি প্রতি বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা। অপর দিকে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি)।  রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। আদা ৯০ থেকে ১১০ টাকা।

গরুর মাংসের কেজি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে ৪৫০ টাকা বেঁধে দেওয়া হলেও উত্তরে সেরকম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে মাংস ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল বাংলানিউজকে জানান।

তিনি বলেন, গরুর মাংসের দাম দক্ষিণ সিটি করপোরেশন যা নির্ধারণ করেছে তাতে প্রতি কেজিতে আমাদের ২০ থেকে ৩০ টাকা লস হবে। তিনি বলেন, আমরা প্রতি কেজি ৪৪০ থেকে ৪৬০ টাকা দরে বিক্রি করছি।

তবে ক্রেতা সেজে অন্য দোকানে গরুর মাংসের দাম জিজ্ঞাসা করলে সেখানে ৪৮০ টাকা দাম চাওয়া হয়।

সবজি ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক বাংলানিউজকে বলেন, বেগুনির জন্যই বেগুনের বাজারে আগুন লেগেছে। লম্বা বেগুন আজ পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করলেও আজ ১২০ টাকায় দিতে পারছি না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
এমএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।