ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বাজেট

বিড়ি, জর্দা ও গুলে কর বাড়ানো হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৮
বিড়ি, জর্দা ও গুলে কর বাড়ানো হবে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় বক্তারা

ঢাকা: আসছে বাজেটে বিড়ি, জর্দা ও গুলের ওপর কর বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

সোমবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে প্রাক বাজেট আলোচনায় এ তথ্য জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, সিগারেটের ওপর সবচেয়ে বেশি কর রয়েছে।

আসছে বাজেটে স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ক্ষতিকর পণ্য বিড়ি, তামাক, জর্দা, গুলের ওপর করের হার বাড়াতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এই খাত থেকে আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসতে হবে।

মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ইন্সটিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টাটস অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্পসমিতি এবং বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভাই প্রতিনিধিরা এই তিন খাতের বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

তাদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, সিগারেট শিল্প থেকে বড় অংকের রাজস্ব পায় সরকার। এটির স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু বন্ধ করে দেয়া যাবে না। এটি বন্ধ করলে চোরাচালান বেড়ে যাবে। এটি রেখেই কীভাবে চোরাচালান বন্ধ করা যায় সেটা দেখতে হবে। আসন্ন বাজেটে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বেই সিগারেট চলে। আমরা সিগারেট কারখানা বন্ধ করলে মানুষ অন্য নেশায় ঝুকবে। যেমন ইয়াবা সিগারেটের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিকর। তবে সিগারেটকে উৎসাহিত করা যাবে না।

প্রাক বাজেট আলোচনায় সিগারেটের ওপর থেকে সারচার্জ প্রত্যাহার ও সিগারেটের স্ল্যাব পরিবর্তনের দাবি জানান ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর চেয়ারম্যান গোলাম মাইনউদ্দিন।  

তিনি বলেন, মধ্যম মানের সিগারেটের মার্কেট শেয়ার ২০ শতাংশে নেমে গেছে। উচ্চমানের সিগারেটের মার্কেট শেয়ার ৯ শতাংশ। শুল্ক ছাড়া চোরাইভাবে সিগারেট আসার প্রবণতা রয়েছে। ৬ মাস আগে যেমন ছিল এটা যাতে কোনভাবেই তারচেয়ে না বেড়ে। সিগারেটে সবচেয়ে উচ্চ কর, এর পরেও যদি সারচার্জ বসে তা আমাদের ওপর চাপ হয়।

বিএটিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনির বলেন, তামাকের বাজার এখন হাই গ্রেড থেকে লো গ্রেডে চলে গেছে। অথচ উচ্চ গ্রেডেই কর বেশি। এর ফলে সরকার গত ১১ বছরে ৬০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে।  

২০১৯ শিক্ষাবর্ষের এনসিটিবি’র পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের কার্যাদেশ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্বল্প শুল্কে কাগজ আমদানির সুযোগ চেয়েছে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি।  

সংগঠনটির চেয়ারম্যান তোফায়েল খান বলেন, রাজধানীর আরামবাগে ১২০০ প্রিন্টিং প্রেস আছে। এর মধ্যে নিবন্ধিত ৭০০। বাকিগুলো অনিবন্ধিত। এগুলোকে কর ও ভ্যাটের আওতায় আনা হোক।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৮
এমএফআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।