ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

রডের ট্যারিফ কমানোর দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
রডের ট্যারিফ কমানোর দাবি এনবিআর সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনা/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রডের দাম কমাতে আসছে বাজেটে রডসহ এম এস পণ্য প্রস্তুতকরণ ও সরবরাহ পর্যায়ে ট্যারিফ কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে আবাসন খাতের নির্মাণ সামগ্রীর দাম সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে ট্যারিফ কমানোসহ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে কয়েকটি সংগঠন।

মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) জাতীয় রাজস্ব র্বোডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় আবাসন খাতসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের প্রতিনিধিরা এনবিআরের কাছে তাদের নিজ নিজ প্রস্তাব তুলে ধরেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় সংগঠনের প্রতিনিধি ও এনবিআর’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।


 
প্রাক-বাজেট আলোচনায়, স্টিল সেক্টরের পক্ষে প্রস্তাবনা তুলে ধরেন রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল্লাহ।

তিনি বলেন, রডসহ এমএস পণ্য প্রস্তুতকরণ ও সরবরাহ পর্যায়ে ট্যারিফ কমাতে হবে। গর্দা বা মেলটেবল স্ক্র্যাপ হতে প্রস্তুত হওয়া ইনগট বা বিলেট এবং ইনগট বা বিলেট হতে প্রস্তুতকৃত পণ্যের ট্যারিফ মূল্য ৬ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকায় নামিয়ে আনার প্রস্তাব করছি।
 
এছাড়াও ফেরাস ওয়েস্ট অ্যান্ড স্ক্র্যাপ আমদানির ক্ষেত্রে সিডি ১৫০০ টাকা প্রত্যাহার ও এআইটি ৮০০ থেকে ৪০০ টাকায় নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয় এই সংগঠনটির পক্ষে।
 
নতুন ভ্যাট আইন অনুযায়ী স্টিল মালিকরা ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করছেন বলে জানান সংগঠনের এক নেতা। তিনি এনবিআর’র কাছে জমা দেওয়া বাড়তি ওই টাকা ফেরত চান।

এর জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, যৌক্তিক হারে করে দিলে রি-ভ্যাট করার প্রয়োজন নেই। স্টিল সেক্টরের কর নিয়ে আমরা এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে কথা বলবো।
 
বাংলাদেশ পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল আহাদ বলেন, দেশেই পাথর থাকা সত্ত্বেও পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। আমরা পুনরায় পাথর উত্তোলনের সুযোগ চাই।
 
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি (বিএসিআই) তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরে। তাদের দাবি, দরপত্রের সময়ে অর্থাৎ যে অর্থবছরে তারা কোনো প্রকল্পের জন্য চুক্তিতে যাবে, সেই অর্থবছরের হারেই যেন, পুরো প্রকল্প চলাকালে তারা ভ্যাট দিতে পারে। অর্থাৎ পরের বছরগুলোতে যেন ভ্যাট বাড়ানো না হয়। প্রকল্পের ব্যয় প্রাক্কলনে কোনো কর ধরা থাকে না বলে তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে জানান সংগঠনটির নেতারা।
 
এর জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সরকারি কনস্ট্রাকশনগুলো খুবই নিম্ন মানের হচ্ছে। এগুলো খুব খারাপ হচ্ছে। ভ্যাট বেশি দেখে কী আপনারা কোয়ালিটি খারাপ করেন?
 
ইটভাটা মালিক সমিতির পক্ষে বলা হয়, দুই থেকে তিন বছর পর পর তাদের উপর ভ্যাট বাড়ানো হয়। চলতি অর্থবছরে যেন কোনো ধরনের ভ্যাট বাড়ানো না হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।