ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

জাতীয় পরিসংখ্যানের মানোন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
জাতীয় পরিসংখ্যানের মানোন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা বিশ্বব্যাংক

ঢাকা: জাতীয় পরিসংখ্যানের মানোন্নয়নে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) ১৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার সমান ৮২ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২৩ কোটি টাকা। ২২ মার্চ সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন ডিসিতে এই অর্থ অনুমোদন করে।

শুক্রবার (২৩ মার্চ) বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছে সংস্থাটির ঢাকা অফিস।

বিশ্বব্যাংকের অঙ্গসংস্থা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) এ ঋণ দিচ্ছে।

৬ বছরের বাড়তি সময়সহ সুদবিহীন এই ঋণ ৩৮ বছরে পরিশোধ করা যাবে। এর মধ্যে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ সেবাখরচ অন্তর্ভুক্ত।

এই বিষয়ে সংস্থাটির বাংলাদেশ অফিসের জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহরিন এ মাহবুব বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় পরিসংখ্যানের মানোন্নয়নে বিশ্বব্যাংক এ সহায়তা অনুমোদন করেছে। সময়মতো এবং মানসম্মত পরিসংখ্যান তৈরিতে বিবিএস এই অর্থ ব্যয় করবে।  
  
তিনি বলেন, ‘দ্যা ন্যাশনাল স্ট্যাটিজি ফর ডেভলপমেন্ট স্ট্যাটিসটিকস ইমপ্লিমেন্টেশন সাপোর্ট প্রজেক্ট’ বাস্তবায়ন করে সময়মতো গ্রহণযোগ্য পরিসংখ্যান তৈরি ও সম্প্রচার করতে পারবো। উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে গুণগত পরিসংখ্যান প্রয়োজন।
 
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজশ্রী পারালকার বলেন, সময়মতো, নির্ভরযোগ্য এবং সার্বজনীনভাবে বিশ্বাসযোগ্য পরিসংখ্যান খুবই প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় সম্পদ বরাদ্দের পরিকল্পনা এবং উন্নয়নের অগ্রগতি কেন্দ্রবিন্দুও সঠিক পরিসংখ্যা। গত এক দশক ধরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের পরিসংখ্যানগত ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করছে।

২০১৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় পরিসংখ্যান (এনএসডিএস) এবং স্ট্যাটিস্টিকস অ্যাক্টের জন্য জাতীয় কৌশল অনুমোদন করে। প্রকল্পটি এই কৌশল বাস্তবায়নে সাহায্য করবে। প্রকল্পটি তথ্য সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে সময়মতো ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট মূল্য, শ্রম, শিল্প, সামাজিক খাত এবং কৃষিখাতের নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যাবে।

বিশ্বব্যাংকের অঙ্গসংস্থা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) এই ঋণ দিচ্ছে। সুদবিহীন এই ঋণ ৬ বছরের বাড়তি সময়সহ ৩৮ বছরে পরিশোধযোগ্য এবং শুন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ সেবাখরচ এতে অন্তর্ভুক্ত।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
এমআইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।