ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

চীনা কোম্পানিকে অনুমোদন দেয়ায় ডিবিএ’র অভিনন্দন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
চীনা কোম্পানিকে অনুমোদন দেয়ায় ডিবিএ’র অভিনন্দন

ঢাকা: চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান, সাংহাই ও শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মালিকানায় আসার জন্য অনুমোদন দেওয়ায় ডিএসই’র পরিচালনা পরিষদকে অভিনন্দন জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকারর্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ)। প্রতিষ্ঠানটি ১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকার বিনিময়ে ডিএসই’র ২৫ শতাংশের অংশীদারিত্ব পেয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট মোস্তাক আহমেদ সাদিক স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে ডিএসইর বোর্ডকে অভিনন্দন জানানো হয়। গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ডিএসই’র বোর্ড সভায় চীনা এ প্রতিষ্ঠান দু’টিকে মনোনীত করা হয়।

তবে তার আগে গত ০৬ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর বোর্ড প্রতিষ্ঠান দুটির কাগজ-পত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। তারপর শনিবার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় ডিএসই বোর্ড।

চিঠিতে বলা হয়, ডিএসই’র স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার বা কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে ভালো কোম্পানিকে খুঁজে বের করা এবং বের করে অনুমোদন দিতে ডিএসইর বোর্ডকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এতে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বিশ্বমানের পুঁজিবাজারের মর্যাদা লাভ করবে। দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে।

এ বিষয়ে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিএসই’র মালিকানায় বিদেশি কোম্পানি এলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবেন। এতে ডিএসই কারিগরিভাবে শক্তিশালী হবে। এছাড়া আন্তর্জাতিকভাবেও মর্যাদা পাবে। যা দেশের পুঁজিবাজারে নতুন দিগন্ত খুলবে।

ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জের মূল উদ্দেশ্য ছিলো ডিএসই’র মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা আলাদা করা, বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে মালিকানা দেওয়া। সেই লক্ষ্যে ২০১৩ সালে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন করা হয়। আইনে শতভাগ মালিকানা থেকে ডিএসই’র বর্তমান সদস্যদের মালিকানা রাখা হয় ৪০ শতাংশ। বাকি ৬০ শতাংশের মধ্যে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার বা কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয় ২৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য রাখা হয় ৩৫ শতাংশ শেয়ার। সেখানে ডিএসই’কে ১৮০ কোটি শেয়ারে কনভার্ট করা হয়।

এদিকে, কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের হিস‍েবে ডিএসই’র ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ৪৫ কোটি টাকার শেয়ার ২২ দামে ৯৯০ কোটি টাকায় কিনতে প্রস্তাব দেয় চীনা প্রতিষ্ঠান দু’টি। পাশাপাশি ডিএসই’র কারিগরি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ৩০০ কোটিরও বেশি টাকা (৩৭ মিলিয়ন ডলার) খরচ করবে বলে প্রস্তাব আসে। সব মিলে দাঁড়ায় এক হাজার ২৯০ কোটিরও বেশি টাকায়।

এর তিন মাস আগে কৌশলগত বিনিয়োগকারী পেতে ডিএসই দরপত্র আহ্বান করে। উন্নত প্রযুক্তি সুবিধা, ব্যবস্থাপনা এবং ব্যবসা উন্নয়নে পরামর্শক সেবা পাওয়ার লক্ষ্যে করা এ দরপত্রে সাড়া দেয় চীনের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়াম।

তাদের সঙ্গে ভারত, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি কনসোর্টিয়ামও প্রস্তাব দিয়েছে। তবে সাংহাই ও শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবই আকর্ষণীয়।

চীনের প্রধান তিনটি স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে সাংহাই ও শেনজেন রয়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে। বাজার মূলধনের দিক থেকে বিশ্বের সেরা ১০টি স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাতেও রয়েছে তারা।

সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন সাড়ে তিন ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন দুই দশমিক দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। অপরদিকে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন চার লাখ ১৩ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
এমএফআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।