ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

একদিনের বাচ্চার দাম কমাতে চেষ্টা চলছে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৮
একদিনের বাচ্চার দাম কমাতে চেষ্টা চলছে সংবাদ সম্মেলন করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ

ঢাকা: মুরগির একদিনের বাচ্চার দাম কমাতে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।

প্রতিমন্ত্রী থেকে একই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে সোমবার (০৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।
 
মুরগির একদিনের বাচ্চা কেনা-বেচা নিয়ে একটি সিন্ডিকেট কাজ করে বলে খামারিদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

আর এ কারণে ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির মাংসের দাম চড়া।  
 
বিষয়টি মন্ত্রণালয় মনিটর করে কিনা- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, বাচ্চার যে সিন্ডিকেটের কথা বলেছেন, সেটা সঠিক। এ ব্যাপারে  একটা কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসেছে। আমরা জানি, চেষ্টা করছি সেটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসে একদিনের মুরগির বাচ্চার দাম একটা ন্যায্য পর্যায়ে নিয়ে আসা, এখন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।    
 
মন্ত্রী বলেন, ব্রয়লার মুরগির দামটা খুবই কম। বরং খামারিরা যেভাবে লাভ করছেন, সেটা খুব একটা বেশি লাভ করতে পারেন না।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দুধ উৎপাদন ছিল ২২.৯ লাখ মেট্রিক টন, যা ২০১৬-১৭ অর্থ-বছরে ৯২.৯ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মাথাপিছু দুধের প্রাপ্যতা ছিল ৫১.০ মিলি, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৭.৯৭ মিলি। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মাংস উৎপাদন ছিল ১০.৮ লাখ মেট্রিক টন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭১.৬ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মাথাপিছু মাংসের প্রাপ্যতা ছিল ২০ গ্রাম, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২১.৭৪ গ্রাম। বিগত ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ডিম উৎপাদন ছিল ৪.৬৯ বিলিয়ন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৪.৯৩ বিলিয়নে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাৎসরিক মাথাপিছু ডিমের প্রাপ্যতা ছিল ৪০টি, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২.৭৫টি।
 
মন্ত্রী বলেন, তবে আমাদের দেশে দুধের কিছুটা ঘাটতি আছে, এই ঘাটতিও এক থেকে দুই বছরের ভেতরে পূরণ হবে। উৎপাদন বাড়াতে একটা বাচ্চাকে গাভীতে রূপান্তরিত করতে গেলে কিছু সময়ের প্রয়োজন হয়। আশা করছি দুই-তিন বছরের মধ্যে দুধেও স্বয়ং সম্পূর্ণ হবো আমরা।
 
তিনি আরো বলেন, মাংসের দিক থেকে চলে এসেছি অলরেডি, হিসাব করছি। আশা করি মাংস, মাছ নিয়ে দ্রুত সুখবর দিতে পারবো।
 
ইতোমধ্যে গরুর মাংসের দাম কমছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দাম আরো কমবে। ছাগল-খাসির চাহিদা বেশি এবং উৎপাদন যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে দাম একটু বেশি থাকবেই সব সময়। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি, জাত উন্নয়ন করা হচ্ছে। উৎপাদন আরো বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
 
মন্ত্রী বলেন, আমরা অতীতের মতো দামে ফিরে যেতে পারবো না, কিন্তু আন্তর্জাতিক সব কিছুর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চলতে হবে। তারপরও আমি বলবো, উৎপাদনের মাধ্যমে এক-দুই বছরের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবো।
 
ভারত থেকে গরু বা গরুর মাংস আমদানির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের উৎপাদন যদি চাহিদা পূরণ করতে পারে তাহলে বিদেশ থেকে কেন আমদানি করবো। আমদানি করলে আমাদের খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা সেটা নিশ্চয় করবো না এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সাপ্লাই দিতে পারি তাহলে সেখান থেকে ‍আনার কোনো প্রয়োজন নাই।

বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনিও বলেছেন এখন আমরা গরু আমদানিতে অনুমতি দিবো না। এখন যে অবস্থায় আছি বাইরে থেকে গরু আনার কোনো প্রয়োজন নেই।
 
সংবাদ সম্মেলনে সচিব মাকসুদুল হাসান খান, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দফতরের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ০৮ জানুয়ারি, ২০১৮
এমআইএইচ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।