ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভিন্ন আঙ্গিকে এবারের বাণিজ্য মেলা, চলছে প্রস্তুতি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৭
ভিন্ন আঙ্গিকে এবারের বাণিজ্য মেলা, চলছে প্রস্তুতি মেলার মূল ফটকে তুলে ধরা হবে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। ছবি: শাকিল আহমেদ/বাংলানিউজ

ঢাকা: আর ২৫ দিন পরেই শুরু হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা’২০১৮। এবারের মেলাকে ভিন্ন আঙ্গিকে সাজাতে প্রস্তুতি চলছে দ্রুতগতিতে।

ভিন্নতা আনতে এবং দর্শনার্থীদের কাছে আরও দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় করতে এবারের মেলায় ফিশ ও বার্ড অ্যাকুরিয়াম প্রদর্শন করা হবে। শিশুদের জন্য থাকবে পার্ক, গেমিং জোন ও খেলার উপকরণ।

তবে সবচেয়ে আকর্ষণ থাকবে মূল ফটকে। এবারের মেলার মূল ফটকে তুলে ধরা হবে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য।

বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর)  রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অস্থায়ী মেলা প্রাঙ্গনে গেলে আয়োজকরা জানান, আগামী বছরের ০১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন করবেন। সে লক্ষ্যে আগামী ২৭ ডিসেম্বরের আগেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মেলা প্রাঙ্গণে বরাদ্দ নেওয়া দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করেছে। নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে চারপাশ টিনশেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। নির্মাণ শ্রমিকরা কেউ মাটি কাটছেন, কেউ ইট নিচ্ছেন আবার কেউ চাল নির্মাণে ব্যস্ত। মূল ফটক ছাড়া সকল স্টলের কাজ শুরু হয়েছে।  

আগামী ২৭ ডিসেম্বরের আগেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।  ছবি: শাকিল আহমেদ/ বাংলানিউজআয়োজকরা জানান, মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে দৃষ্টিনন্দন ১৪টি বাগান, তিনটি রেস্তোরাঁ,  ইকোপার্ক, শিশুপার্ক, পর্যাপ্ত টয়লেট, এটিএম বুথ, মসজিদ, প্রতিবন্ধীদের জন্য অটিজম সেন্টার, মাদার কেয়ার সেন্টার, স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র ইত্যাদি।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে,  মেলায় ১৪ ক্যাটাগরিতে দেশ-বিদেশের ৫২০টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ পেয়েছে। এর মধ্যে থাকছে ৬৪টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ৩৬টি মিনি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ১৭টি জেনারেল প্যাভিলিয়ন, ২৫টি মিনি জেনারেল প্যাভিলিয়ন, চারটি রিজার্ভ প্যাভিলিয়ন, ছয়টি মিনি রিজার্ভ প্যাভিলিয়ন, ২৭টি বিদেশি প্যাভিলিয়ন এবং ৮টি মিনি বিদেশি প্যাভিলিয়ন।

এছাড়া ৬৭টি প্রিমিয়ার স্টল, ১৮টি বিদেশি স্টল, ২৬০টি সাধারণ স্টল ও ২৪টি ফুড স্টল থাকবে।

মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানান, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে সমস্ত এলাকা সিসি টিভি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। এছাড়া পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। দর্শনার্থীদের জন্য আনন্দঘন পরিবেশ নির্বিঘ্ন করতে নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতও কাজ করবেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, এবারের মেলা সফল হবে। গত বছরের তুলনায় এবার কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। মূল ফটকে দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যকে তুলে ধরে ভিন্ন কিছু করতে যাচ্ছি, যা দেখে দর্শনার্থীদের চোখ আটকে যাবে। আশা করছি, তারা পুরো মেলা দারুণ উপভোগ করবেন’।

‘আমরা দ্রুত কাজ করার জন্য বলেছি। ২৭ ডিসেম্বরের আগেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে’।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
এএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।