ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি

বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে কৃষি বিষয়ক ৩ মেলা শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে কৃষি বিষয়ক ৩ মেলা শুরু আইসিসি’বিতে কৃষিবিষয়ক তিন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান/ছবি: সুমন

ঢাকা: রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৩শ ফুট রাস্তা সংলগ্ন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসি’বি) শুরু হয়েছে কৃষিপ্রযুক্তি, খাদ্য ও খাদ্য উৎপাদন বিষয়ক তিনটি মেলা।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) শুরু হওয়া ‘পঞ্চম বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৭’, ‘সপ্তম অ্যাগ্রো বাংলাদেশ এক্সপো ২০১৭’ এবং ‘চতুর্থ রাইস অ্যান্ড গ্রেইনটেক এক্সপো-২০১৭’ শীর্ষক মেলা তিনটি চলবে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত। সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত মেলায় বিনামূল্যে প্রবেশ করা যাবে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মনর‌্য।  

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন বাংলাদেশে ২০ থেকে ৩০ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। সেই বাংলাদেশ আর নেই। মেধা, মনন ব্যবহার করে আমরা কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছি, যার সুফল এখন পাচ্ছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদন করতে পারছি। কৃষি বিপ্লবের পেছনে অনেক ধরনের সংকট রয়েছে। অনেক ছাড় দিতে হয়। আধুনিক যন্ত্রপাতি দরকার। দেশি-বিদেশি অংশীদারিত্বে বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার। বাংলাদেশ আজ এমন অবস্থানে যে অনেকেই এখন বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়।

তিনদিনব্যাপী ই মেলায় বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, কোরিয়া, তাইওয়ান, চীন, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, জাপান, নেদারল্যান্ড, তুরস্ক, ইউক্রেন, মালয়েশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় ১৬টি দেশের ১২০টি প্রতিষ্ঠানের ২৫০টি স্টল বসেছে। স্টলগুলোতে প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন এবং এক্সট্রিম এক্সিবিশন অ্যান্ড ইভেন্ট সল্যুশন লিমিটেড।

বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সি বলেন, প্রাণ-আরএফ গ্রুপের উদ্যোক্তা মেজর জেনারেল আমজাদ খান চৌধুরীর নেতৃত্বে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক পণ্য দেশ-বিদেশে জনপ্রিয় করে তোলা আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য।

সজিব গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেম বলেন, বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক দেশ। কৃষিপণ্য যতো বেশি রপ্তানি হবে আমাদের কৃষকরা ততো উপকৃত হবেন। বিশ্ববাজারে বর্তমানে বাংলাদেশের পণ্য মানসম্মত পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। রপ্তানির ক্ষেত্রে ইনসেনটিভ বাড়ালে এর সুফল আরও বেশি পাওয়া যাবে।

রশিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রশিদ বলেন, বাংলাদেশে খাদ্য সংকটের আলোচনার পরপরই এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সুতরাং, এই মেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চাল আমাদানির পরও বাজারে স্থিতিশীলতা আসছে না। তাই আমি মনে করি আমাদের মিল মালিকরা এই সুযোগটা কাজে লাগতে পারেন। যাদের একটি মেশিন রয়েছে, তারা আরও একটি মেশিন যোগ করতে পারেন।

এএফএম ফকরুল ইসলাম মুন্সির সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভারতের মিজরাম লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির চেয়ারম্যান পু লালরিনলিয়ানা সেলিও, নেদারল্যান্ড দূতাবাসের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান জেরইন স্টিগস, এফবিসিসিআই পরিচালক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
এসই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।