ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

আরও বিদেশি ক্রেতা চান দেশীয় ফুটওয়্যার উদ্যোক্তারা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
আরও বিদেশি ক্রেতা চান দেশীয় ফুটওয়্যার উদ্যোক্তারা বিভিন্ন কোম্পানি তাদের জুতা প্রর্দশন করছে, যা আন্তর্জাতিকমানের

ঢাকা: দেশীয় ফুটওয়্যার শিল্প উদ্যোক্তারা বিদেশে তাদের বাজার আরও বড় করতে চান। কিন্তু সেরকম প্রত্যাশিত বিদেশি ক্রেতা সমাগম এখনও হয়নি। বেশিরভাগেরই ক্রেতা ইউরোপের। তবে আমেরিকা-কানাডায় যে ধরনের ফুটওয়্যারের এখন চল, তা-ই তারা তৈরি করছেন। এজন্য সেখানেও নতুন বাজার তৈরি করতে চান দেশীয় ফুটওয়্যার উদ্যোক্তারা।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) শেষ হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ফুটওয়্যার শিল্পের বড় আয়োজন লেদারটেকশো। আয়োজনে অংশ নেওয়া দেশীয় কয়েকজন উদ্যোক্তা এমনটাই জানিয়েছেন।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলছে দেশের চামড়াজাত পণ্যের সবচেয়ে বড় আয়োজন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডশো অন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার মেশিনারি, কম্পোনেন্টস, কেমিক্যালস অ্যান্ড অ্যাক্সেসরিজ- সংক্ষেপে  ‘লেদারটেকশো’র প্রদর্শনী।

চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ ১৫টি দেশের ১৭১টি প্রতিষ্ঠান ও শিল্পখাতের সংগঠক, বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে এতে।

এ খাতের বড় রপ্তানিকারক অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মনজুর এলাহী বাংলানিউজকে বলেন, ইউরোপের বাজারে প্রায় সবার ভালো অবস্থান রয়েছে। এ ধরনের আয়োজনে এটা জানানো সম্ভব হচ্ছে যে, আমাদের জুতার কোয়ালিটি কতো উন্নত। এটা দেশীয় পণ্যের একটি বড় প্রচারণার জায়গা। এর মাধ্যমে নতুন বাজার তৈরি সম্ভব।

তবে বিদেশের বায়ার বা ক্রেতা ততটা সমাগম হয়নি বলে অতৃপ্তি জানালেন বেঙ্গল শু ইন্ডাস্ট্রিজ’র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সাদমান সাকিব চৌধুরী।  

তিনি বলেন, প্রদশর্নীর উদ্দেশ্য বিদেশের নজর কাড়া। এখানে বিদেশি ক্রেতারা এসে, দেখে অর্ডার দেবেন। কিন্তু দু’দিনে তেমন বিদেশি ক্রেতার অর্ডার মেলেনি।  

আসছে সময়ে বিদেশের প্রদর্শনীগুলোতে অংশ নিতে আগ্রহী সাদমান বলেন, আমেরিকায় যে ধরনের কমফোর্ট জুতা এখন চলে বা উইন্টার স্টেটগুলোতে শীতকালীন জুতার যে চাহিদা তা তারা তৈরিতে সক্ষম।  

লেদারটেকের ইভেন্ট পার্টনার আস্ক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিউশন প্রাইভেট লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর টিপু সুলতান ভুঁইয়া বলেন, ২০১১ সালে যখন তারা প্রথম লেদারটেক আয়োজন করেন তখন দেশি-বিদেশি মাত্র ৬০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিলো। এখন ৫ম আসরে এ সংখ্যা ১৭১-এ দাঁড়িয়েছে। এতেই বোঝা যায় বিশ্বে চামড়াজাত পণ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৈরি হচ্ছে।  

আর এ ধরনের আয়োজনে নতুন প্রযুক্তিও প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তরা সেগুলো কিনে গুণগত মানসম্পন্ন জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য তৈরি করতে পারছেন।  

**মধ্যপ্রাচ্য-অস্ট্রেলিয়ার বাজারে যাবে ‘কারিগর’

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
এসএ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।