ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শিল্প

এইচএসবিসি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস পেলো ৫ প্রতিষ্ঠান  

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
এইচএসবিসি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস পেলো ৫ প্রতিষ্ঠান   অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে পুরস্কারপ্রাপ্তরা-ছবি-শাকিল আহমেদ

ঢাকা: রফতানির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সপ্তমবারের মতো ‘এইচএসবিসি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস’ পেলো পাঁচ প্রতিষ্ঠান।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্য হংকং সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি) লিমিটেড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।

মোট চার ক্যাটাগরিতে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

প্রথম ক্যাটাগরি ‘তৈরি পোশাক শিল্প’-এ বছরের সেরা রফতানিকারকের (গ্রুপ এ) পুরস্কার পেয়েছে স্কয়ার ফ্যাশন্স লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত ২৫টি ব্র্যান্ডের পণ্য বিশ্বের ৭৫টি দেশে রফতানি করা হয়।

একই ক্যাটাগরিতে (গ্রুপ বি) পুরস্কার পেয়েছে তারাশিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৭ সালে কার্যক্রম শুরু করে বর্তমানে বিশ্বের ৪০টি দেশে তাদের পণ্য রফতানি করছে।

দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে রয়েছে ‘সাপ্লাই চেইন ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ অ্যাপারেল’ প্রতিষ্ঠান। এ ক্যাটাগরিতে বছরের সেরা রফতানিকারকের পুরস্কার পেয়েছে এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড।  

২০০৫ সাল থেকে কাজ শুরু করা এ প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারতসহ বিশ্বের ২১টি দেশে তাদের পণ্য রফতানি করছে।

তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ‘সনাতন ও উদীয়মান ক্ষেত্রে’ বছরের সেরা রফতানিকারক নির্বাচিত হয়েছে সীফুড রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান সীমার্ক (বিডি) লিমিটেড। ২০০২ সালে কার্যক্রম শুরু করা এ প্রতিষ্ঠান বর্তমানে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে সীফুড রফতানি করে।

চতুর্থ ক্যাটাগরিতে ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প’-এ সেরা রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে নীলফামারীতে অবস্থিত ক্ল্যাসিকাল হ্যান্ডমেড প্রোডাক্টস বাংলাদেশ। বর্তমানে বিশ্বের ৩৩টি দেশে হাতে তৈরি গৃহসজ্জা সামগ্রী রফতানি করছে ২ হাজার কর্মীর এ প্রতিষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালিসন ব্লেক ও এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ফ্রান্সওয়া দ্য মেরিকো।

অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উদ্যোক্তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমাদের প্রথম বাজেটে রফতানি আয়ের অধিকাংশই কৃষি খাত থেকে আসলেও এখন শিল্প খাত থেকে আসে।

তিনি বলেন, বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন আমাদের রফতানি আয় ছিলো ১০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু এখন এটা ৩৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। শিল্প খাতকে এগিয়ে নিতে সরকার নতুন নতুন পলিসি নিচ্ছে। বিশ্বের উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

গতবছর এ চার ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত পাঁচ প্রতিষ্ঠান হলো ডিবিএল গ্রুপ, হা-মীম ডেনিম, এপিক গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও ট্রেডেক্সেল গ্রাফিকস।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
এসআইজে/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।