ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাইকারিতে দাম কমলেও খুচরায় প্রভাব নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
পাইকারিতে দাম কমলেও খুচরায় প্রভাব নেই কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারের সবজির দোকানে বিকিকিনি; ছবি- শাকিল; বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: গত কয়েক মাস ধরে সবজি বাজারে অস্থিরতার কারণে নাভিশ্বাস উঠেছিলো রাজধানীবাসীর। কাঁচাবাজারে কোনো সবজির কেজি ৬০ টাকার নিচে বিক্রি হয়নি সেসময়।

তবে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) শীত মৌসুমের শুরুতে সবজির দামে কিছুটা স্বস্তির লক্ষণ দেখা গেছে। তবে তা পাইকারি বাজারে।

খুচরা বাজারে এখনও তেমন একটা প্রভাব পড়েনি শীতের।

এদিন রাজধানীর সর্ববৃহৎ কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি সবজিতেই কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা দাম কমেছে। তবে আশপাশের খুচরা বাজারগুলোতে এখনো ৩-৪ দিন আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার কারওয়ান বাজারে কাঁচা মরিচের মান ভেদে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা, প্রতি কেজি বেগুন (সাদা) ৪০ টাকা, সিম ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, ফুলকপি (মাঝারি) প্রতি পিস ২০টাকা, বাঁধাকপি (মাঝারি) প্রতিপিস ৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০-৪০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৪৫-৫০ টাকা, আলু (পুরাতন)২০, আলু (নতুন)৮০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, ঝিঙা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, পুঁইশাক প্রতি আটি ২০ টাকা, লালশাক ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কারওয়ানবাজারের খুচরা সবজির বাজার বেচাকেনা চলছে; ছবি- শাকিল; বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দাম কমার বিষয়ে জানতে চাইলে বেগুন বিক্রেতা সজিব বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় ৯০ভাগ সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। এর আগে বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হওয়ার কারণে দাম বেশি ছিলো, কিন্তু এখন আবার নতুন সবজি আসতে শুরু করেছে। যেমন আগে বৃষ্টিতে বেগুন গাছ সব নষ্ট হয়ে গেছিলো, এখন আবার সেসব গাছে ডাল বের হয়ে বেগুন ধরেছে। এখন দাম কমতে থাকবে।

তবে মাহাবুব নামের সবজি ব্যবসায়ী বলেন, দাম এখনি টানা কমবে না। মাঝে মাঝে বাড়তিও থাকবে। কারণ এখনো দাম কমার মতো সবজির সাপ্লাই আসতে শুরু করেনি। আর আশেপাশের বাজারগুলো এখনি দাম কমবে না। কারণ তারা দুই একদিন কম দামে কিনে বেশিদামে বিক্রি করে একটু ব্যবসা করবে।

এদিকে এদিন মাংসের বাজারে দেখা গেছে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৩০ টাকা, সোনালি ১৬০ টাকা, খাসি ৭৫০, গরু ৪৬০-৪৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি মুরগির ক্ষেত্রে দেখা গেছে দামের তারতম্য। কোনো কোনো দোকানে দেখা গেছে মুরগি পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে আবার কোথাও কেজি হিসেবে। দেখা গেছে ৫০০/৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতি পিস মুরগি ১৬০-১৮০ টাকা এবং ১ কেজি ওজনের প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৪০ টাকা দরে। আবার কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা দরে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২১ ঘণ্টা,নভেম্বর ১৭, ২০১৭
এসআইজে/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।