ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পেপারলেস ট্রেডে বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৭
পেপারলেস ট্রেডে বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে

ঢাকা: দক্ষতার সঙ্গে বিশ্ব বাণিজ্যে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ এখন প্রস্তুত। ডব্লিউটিও-এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ইউএনএস্কাপ’র অধীন  ‘ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট অন ফেসিলিটেশন অব ক্রোস বর্ডার পেপারলেস ট্রেড ইন এশিয়া অ্যান্ড দি প্যাসিফিক’-এ প্রথম দেশ হিসেবে স্বাক্ষর করেছে (২৯ আগস্ট) বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত এশিয়া ইউরোপ মিটিংয়ের (আসেম) সপ্তম ইকোনমিক মিনিস্টার্স মিটিংয়ের (ইএমএম) দ্বিতীয় প্লেনারি সেশনে ‘স্ট্র্যাংদেনিং ইকোনমিক কানেকটিভিটি’ বিষয়ের উপর গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতায় এ কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি ইউরো-এশিয়া কানেকটিভিটিঃ ই-কমার্স এবং ডিজিটাল ট্রেডের উপর বেশি গুরুত্ব দেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এসময় দেশের রপ্তানি হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন। বর্তমানে দেশের রপ্তানি প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এজন্য বাংলাদেশ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে আধুনিক ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করে ই-কানেকটিভিটি স্থাপনে বাংলাদেশ সক্ষম। অতিসম্প্রতি বাংলাদেশ দ্বিতীয় সাইবার ক্যাবলে যুক্ত হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফোর-জি চালু হবে।  

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ অঞ্চলে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হলে সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। বাণিজ্য জটিলতা হ্রাস, জ্বালানির সহজ প্রাপ্তি, তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান অর্জন এবং মানুষে মানুষে যাতায়াত সহজ করতে হবে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে এশিয়া-ইউরোপের সদস্যদেশগুলো উপকৃত হবে। ভবিষ্যতে বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক যোগাযোগ বাড়বে এবং টেকসই উন্নয়ন ঘটবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাপী দ্রুত ই-কমার্স জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যে প্রায় ৮০ ভাগ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে ২০ ভাগ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের অবকাঠামো প্রস্তুত করা হচ্ছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। সরকারি দপ্তরগুলোকে ই-গভর্নেন্সের আওতায় এনে পেপারলেস করা হচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি চালুর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী লি নাক-ইয়েন এবং মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে মতবিনিময় করেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জুলফিকার রহমান বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৭
আরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।