ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

নীলফামারীতে চাল মজুদে প্রতিযোগিতা, বাড়ছে দাম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৭
নীলফামারীতে চাল মজুদে প্রতিযোগিতা, বাড়ছে দাম ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইাল ছবি)

নীলফামারী: নীলফামারীতে চাল মজুদ করতে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন আমদানিকারক ও চালকল মালিকরা। ফলে বন্যার পর থেকে দ্রুত বাড়ছে চালের দাম। বর্তমানে বাজারে ৫০ টাকা কেজির নিচে কোনো চাল মিলছে না। এতে বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

নীলফামারীর সবচেয়ে বেশি আমদানিকারক ও চাল ব্যবসায়ী রয়েছেন বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে। সেখানে ভারতীয় স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি।

এছাড়াও ব্রি-২৮ অটো মিলের চাল ৫৮ টাকা, ব্রি হাকসিং মিলের চাল ৫৫ টাকা, ব্রি-২৯ চাল ৫৪ টাকা, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৪ টাকা, পাইজাম ৬০ টাকা ও বাসমতি ৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব চালে কেজি প্রতি ৬ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বাজারে চালের দামের অস্থিরতা থাকায় সকালে যে দামে বিক্রি হচ্ছে, বিকেলে আর ওই দামে স্থির থাকছে না।

আমদানিকারক ও চালকল মালিকরা বাংলানিউজকে জানায়, ভারতে চালের দাম বেড়ে গেছে। এছাড়াও আমদানি খরচ মিলিয়ে দফায় দফায় চালের দাম বাড়াচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এতে খুচরা বাজারে দামের প্রভাব পড়ছে। একদিনের ব্যবধানে চালের কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাল ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, বাজারে বড় ব্যবসায়ীদের গুদামে হাজার হাজার বস্তা চাল মজুদ রয়েছে। এতে চালের দামে অস্থিরতার সৃষ্টি হচ্ছে।

সৈয়দপুর চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম রেজু বাংলানিউজকে জানান, চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি ও ভারতে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। চালের বাজার বড় বড় অটো মিল মালিকদের হাতে চলে যাওয়ায় দামে এমন অস্থিরতার সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে এ বছর সরকার চাল সংগ্রহে স্থানীয় হাসকিং মিলারদের সঙ্গে চুক্তি না করায় সরকারের চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। চালের বাজার দর বৃদ্ধিতে এর প্রভাবও পড়েছে বলে ওই ব্যবসায়ীর মন্তব্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৭
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।