ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

আইপিওতে ২০০ কোটি টাকা তুলতে পারবে বসুন্ধরা পেপার মিলস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৭
আইপিওতে ২০০ কোটি টাকা তুলতে পারবে বসুন্ধরা পেপার মিলস

ঢাকা: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের(আইপিও)বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে ২০০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন পেল বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের(বিএসইসি)৬১০তম সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

রোববার(২৭ আগস্ট)কমিশনের নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহম‍ান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য প্রকাশ কর‍া হয়।

এতে বলা হয়, সভায় বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ইলেক্ট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে ইস্যু-মূল্য(কাট-অফ প্রাইস)নির্ধারণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

কোম্পানিটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও)মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ২০০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে। উত্তোলিত অর্থ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়, ব্যাংকঋণ পরিশোধ এবং আইপিওর খরচ মেটানোর জন্যে ব্যয় করতে পারবে।

বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড পুঁজিবাজার থেকে ২০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে কারখানার আধুনিকায়ন ও মেশিনারি আমদানি করবে। এখাতে ব্যয় হবে ১২০ কোটি টাকা। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যয করবে ৬০ কোটি টাকা। কারখানার অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যয় করবে ৬ কোটি টাকা।

এছাড়াও ইনস্টলেশন কস্টে তিন কোটি, যন্ত্রাংশে তিন কোটি টাকা এবং ভূমি উন্নয়নে ব্যয় করবে তিন কোটি টাকা। আর আইপিওতে খরচ করবে ৫ কোটি টাকা। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোম্পানিটির ৩০ জুন, ২০১৬ তারিখে সমাপ্ত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী যথাক্রমে শেয়ারপ্রতি নিট এসেট ভ্যালু(এনএভি) ৩০ দশমিক ৪৯ টাকা এবং শেয়ারপ্রতি নিট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি)১৫ দশমিক ৭৯ টাকা। এছাড়াও শেয়ারপ্রতি আয় ১ দশমিক ৪৬ টাকা।  

প্রসঙ্গত, এই বিডিংয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা হবে। যে দামে তাদের জন্য সংরক্ষিত কোটার শেয়ার বিক্রি শেষ হবে, সেই দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব দেওয়া হবে।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা শেষ হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ফের অনুমতি চাইতে হবে। অনুমতি পেলে শেয়ার আবেদন ও চাঁদা গ্রহণের সময়সূচি প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

বাংলাদেশ সময়:১৯৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৭
এমএফআই/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।