ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

অস্ট্রেলিয়ার কয়লায় বাংলাদেশের সম্ভাবনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৭
অস্ট্রেলিয়ার কয়লায় বাংলাদেশের সম্ভাবনা

ঢাকা: অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে কয়লাভিত্তিক সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ। কয়লা উত্তোলন, আমদানি এবং কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ সব ধরনের সহযোগিতা কাম্য সরকারের। এ ব্যাপারে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী ২৪ আগস্ট অস্ট্রেলিয়ার পার্থে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসছেন।

বৈঠকে যোগ দিতে বুধবার (২৩ আগস্ট) অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপের সঙ্গে কয়লা ছাড়াও দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।

মঙ্গলবার ( ২২ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে এসব কথা জানান।  

অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের অন্যতম প্রধান কয়লা উৎপাদন ও রফতানিকারক দেশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো অস্ট্রেলিয়া থেকে কয়লা নেওয়া বাড়িয়ে চলেছে। আগামী ২০ বছরের এ জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা বেড়ে হবে ৩ গুণ।

এর অন্যতম কারণ এ অঞ্চলের দেশগুলো ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক উত্থানের কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে। চীন ও ভারত এর নেতৃত্ব দিলেও বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকবে না বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

এজন্য দরকার জ্বালানি। ২০২১ সালের মধ্যে এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ৭০ গিগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হতে যাচ্ছে। ফলে ওই সময়ে বার্ষিক কয়লার চাহিদা বাড়বে ৩০ কোটি টন। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আইইএ) এক প্রতিবেদন এ পূর্বাভাস দিয়েছে।

ওই কর্মকর্তা জানান, অস্ট্রেলিয়া থেকে রফতানি হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে থার্মাল কয়লার (তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার হয়) অবস্থান তৃতীয়। পণ্যটির চাহিদা বেড়ে গেছে। অন্যদিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কয়লার ব্যবহার বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছে চীন, ভারত, বাংলাদেশ ছাড়াও ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইন।

কর্মকর্তা আরও জানান, ২৪ আগস্ট দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী ২৫ আগস্ট মানব পাচার রোধে ‘বালি প্রসেস’ নামে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন।

মায়ানমার, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ছাড়াও যেসব দেশ মানব পাচারের শিকার বা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কাজ করছে তাদের নিয়ে শলামরামর্শ করতে ও কৌশল নির্ধারণে আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের আয়োজন।

মানব পাচার রোধে ২০০২ সালে যে ‘বালি প্রসেস’র উদ্যোগ নেওয়া হয় তাতে ৪৫টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া অর্ন্তভুক্ত হয়। বালি প্রসেস মানব পাচার ছাড়াও রাজনৈতিক আশ্রয়, অবৈধ অভিবাসীর মতো বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে। কিন্তু কার্যকর কোনো আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক উদ্যোগ না থাকায় বালি প্রসেস খুব বেশি দূর এগোয়নি।  

অস্ট্রেলিয়া মনে করে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিয়ে মানব পাচার তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। এটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। কোনো একটি দেশের পক্ষে এ ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। আঞ্চলিক উদ্যোগ এ জন্যে জরুরি বলে মনে করছে তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৭
কেজেড/এমজেএক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।