ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পেঁয়াজের দাম সামান্য কমলেও চাল স্থিতিশীল

শেখ জাহিদুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
পেঁয়াজের দাম সামান্য কমলেও চাল স্থিতিশীল পেঁয়াজের দাম সামান্য কমলেও চাল স্থিতিশীল

ঢাকা: গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৩ থেকে ৬ টাকা করে কমেছে হঠাৎ অগ্নিমূল্যে চলে যাওয়া পেঁয়াজের দাম। অন্যদিকে চালের বাজার রয়েছে স্থিতিশীল।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বাজারে চাহিদা বাড়লেও বর্ষা মৌসুমে ভারতের উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোতে বন্যার কারণে দেশটি থেকে পেঁয়াজের আমদানি কমে যায়। ফলে পণ্যটির কেজিপ্রতি দাম ২৫-৩০ টাকা থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে গত সপ্তাহে  ৬০-৬৫ টাকায় পৌঁছে যায়।

এখন আমদানি কিছুটা বাড়ায় দামও সামান্য কমেছে।  

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারিতে কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিলো যথাক্রমে ৫৩ টাকা ও ৫০ টাকা। ফলে দেশি পেঁয়াজে ৩ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজে ৬ টাকা করে দাম কমেছে।  

নতুনবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল যথাক্রমে ৬৫ টাকা ও ৬০ টাকা। এক্ষেত্রেও গড়ে ৫ টাকা করে কমেছে।  

কারওয়ানবাজারের চাল ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি কেজি মোটা স্বর্ণা চাল ৪২-৪৩ টাকা, পারিজা চাল ৪২ টাকা, ভালো মানের মিনিকেট ৫৪ টাকা, সাধারণ মিনিকেট ৫২ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৪৮ টাকা, সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৫০ টাকা, উন্নতমানের নাজিরশাইল ৫২ টাকা, পাইজাম চাল ৪৮ টাকা, বাসমতি ৫৩ টাকা, কাটারিভোগ ৭২-৭৩ টাকা এবং পুরনো পোলাওয়ের চাল ১০০ টাকা ও নতুন পোলাওয়ের চাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হয়েছে গত সপ্তাহেও।  

কারওয়ানবাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মো. ইউসুফ বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩-৬ টাকা কমেছে। কিন্তু দেশি পেঁয়াজের দাম আরও কমা উচিৎ। যে পেঁয়াজ দুই সপ্তাহে আগেও ছিলো মাত্র ৩০ টাকা, সেই পেঁয়াজ এখনো ৬০ টাকা। এটা কি করে সম্ভব? বাজার তদারকির পাশাপাশি কি কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়লো- সেটিও আমাদের জানা উচিৎ’।  

‘এভাবে প্রতিনিয়ত পণ্যের দাম বাড়লে আমাদের পক্ষে রাজধানীতে বসবাস করাই কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে’।

ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে প্রতি বছর ২০-২২ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। রমজান ও কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে তা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।  এ চাহিদার ৬০ শতাংশ ১৭ থেকে ১৮ লাখ টন পেঁয়াজ দেশেই উৎপাদিত হয়। চাহিদা পূরণে আমদানি করা বাকি পেঁয়াজের বেশিরভাগই আসে পাশের দেশ ভারত থেকে।  

কারওয়ানবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সোলাইমান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজের চেয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ বেশি বিক্রি হয়। আমরা যখন যেমন কিনে আনি, তেমনভাবেই বিক্রি করি। বাজারের ওপর ভিত্তি করেই দাম ওঠা-নামা করে। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে শুরু করায় দাম কমতে শুরু করেছে। এখন থেকে কমতেই থাকবে’।   

নতুনবাজারের খুচরা বিক্রেতা হাসান ইকরাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজের দাম  মোকামে বৃহস্পতিবার থেকে একটু কমেছে। এ কয়েকদিন দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের সঙ্গে আমাদের ঝগড়া হচ্ছিল। কিন্তু আমরা তো আর ইচ্ছা করে পণ্যের দাম বাড়াই না। যেমন কিনতে পারি, তেমনি বিক্রি করি’।  

কারওয়ানবাজারের চাল বিক্রেতা আজমান হোসাইন বলেন, ‘চালের দাম বাড়েনি। গত সপ্তাহে যা ছিলো, সে দামেই পাইকারি বিক্রি করছি। তবে সামনে দাম কমার চেয়ে বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি’।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
এসজে/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।